বাছুর মারার ফ্যাসাদ

এএফপি প্রতীকী ছবি।
এএফপি প্রতীকী ছবি।

সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় একটা একটা বাছুর পড়ে গেল চাকায়। মরেও গেল ওটা। এতে মহা গ্যাঁড়াকলে পড়ে গেলেন সাইকেলচালক। গোবৎস বলে কথা। পঞ্চায়েত চেপে ধরল, প্রায়শ্চিত্ত না করলে রক্ষা নেই। কী সেই সাজা? বাছুরমালিকের নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে করতে হবে। কয়েক মাস আগে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বিদিশা এলাকায় পাথারিয়া থানার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে সাজা পোহাতে হয়নি ওই ব্যক্তিকে। গত শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিয়েটা বন্ধ করে দেয়।

গতকাল রোববার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মধ্যপ্রদেশে গরুকে মেরে ফেলায় বিভিন্ন সামাজিক শাস্তি দেওয়া হয়। এসব শাস্তির মধ্যে রয়েছে অপরাধীকে গঙ্গা নদীতে চুবানো, গ্রামবাসীর জন্য ভোজের আয়োজন করা, অনেক সময় বয়স বিবেচনা না করে অপরাধীকে গরুর মালিকের মেয়েকে বিয়ে করতে বলা হয়। কারণ গ্রামবাসী মনে করে, এটিই অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

পাথারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বি ডি সিং দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর সাইকেলে চড়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বাছুরটির সঙ্গে ওই দ্বিচক্রযানের ধাক্কা লাগে। পরে বাছুরটি মারা যায়। এরপর ওই ব্যক্তি শাস্তি হিসেবে গঙ্গা নদীতে ডুব দিতে চান। গ্রামের সবাইকে খাওয়াতে চান। তবে গ্রামবাসী এগুলোর কোনাটিতেই রাজি হয়নি। তাদের দাবি, ওই ব্যক্তিকে বাছুরের মালিকের মেয়েকে বিয়ে করতে হবে।

নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের একটি দল পুলিশ নিয়ে শুক্রবার ওই গ্রামে পৌঁছায়। তারা বলে, ওই মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক। তবে মেয়ের পরিবার এতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

বি ডি সিং বলেন, আধার কার্ড দেখে জানা যায়, মেয়েটির বয়স ১৪ বছরও হয়নি। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।