বাংলাদেশকে নিয়ে বিজ্ঞাপন আটকে দিল ভারতের সেন্সর বোর্ড

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে তৈরি বিজ্ঞাপন চিত্রে বাংলাদেশকে জড়ানোয় তা আটকে দিয়েছে দেশটির সেন্সর বোর্ড। পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এ কথা জানিয়েছে।

চলতি জানুয়ারি মাস থেকেই টেলিভিশন চ্যানেলে ওই বিজ্ঞাপনটি দেখানোর কথা ছিল। ভারতের সেন্সর বোর্ড বিজ্ঞাপন চিত্রটি আটকে দেওয়ায় আর টেলিভিশনে দেখা যায়নি বাংলাদেশবিরোধী ওই বিজ্ঞাপনটি।

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ভারতের সেন্সর বোর্ডের কলকাতা কার্যালয়ে বিজ্ঞাপন চিত্রটি জমা দিয়ে চারটি ছাড়পত্র পেতে আবেদন করেন বিজ্ঞাপনের পরিচালক সঙ্ঘ মিত্রা চৌধুরী। এরপর এক মাস পরই নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনেই ওই বিজ্ঞাপন থেকে বাংলাদেশ অংশটি পরিবর্তন করতে নোটিশ পাঠায় সেন্সর বোর্ড। ভারতের ‘সেন্সর বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন সিবিএফসি বলেছে, ওই বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাদ দিতে হবে অথবা ‘বদলে’ দিতে হবে।

সম্প্রতি বিজ্ঞাপন নির্মাতা চলচ্চিত্রকার এবং বিজেপির নারী মোর্চার নেতা সঙ্ঘ মিত্রা চৌধুরীর কাছে এ বিষয়ে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ। যেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, ওই বিজ্ঞাপন চিত্রটি থেকে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাদ দিতে হবে না হয় ‘পরিবর্তন’ করতে হবে। ‘হিন্দু’ এবং ‘প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে আসা হিন্দু’ শব্দগুলো ওই বিজ্ঞাপনে রিপ্লেস বা পরিবর্তন করতে হবে।

সঙ্ঘ মিত্রা চৌধুরী বলেন, সেন্সর বোর্ড আটকে দেওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য সবকিছু তৈরি ছিল।

এ বিষয়ে সিবিএফসির আঞ্চলিক কর্মকর্তা পার্থ ঘোষ গণমাধ্যমের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

তবে বোর্ডের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, সেন্সর বোর্ড কোনো ছবি বা বিজ্ঞাপন চিত্র আটকে দিতে চায় না। কিন্তু যথাযথ প্রক্রিয়া না মানা হলে তবেই তা আটকে দেওয়া হয়।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাস হয়। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে এই আইন সংশোধন করে ভারত। বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব হয়েছে দেশটির একাধিক রাজনৈতিক দল।