ভারত আমাদের অনেক দিন ধরে ভোগাচ্ছে: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এএফপি ফাইল ছবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এএফপি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাণিজ্য খাতে উচ্চ শুল্ক নির্ধারণ করে ভারত দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে ভোগাচ্ছে। আসন্ন ভারত সফরে এই বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার কলোরাডোতে ‘কিপ আমেরিকা গ্রেট’ র‍্যালিতে অংশ নিয়ে ট্রাম্প এ কথা বলেন। র‍্যালিতে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ফেব্রুয়ারি দুদিনের ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে আসছেন তিনি। দুদিনের এই সফরে তিনি আহমেদাবাদ, আগ্রা ও দিল্লিতে যাবেন। বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, সেটির ইঙ্গিতও দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আগামী সপ্তাহে ভারতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে কথা বলব। ভারত আমাদের অনেক দিন ধরে ভোগাচ্ছে। তারা আমাদের পণ্যের ওপর যে শুল্ক নির্ধারণ করে রেখেছে, অন্য কোনো দেশের ওপর এত উচ্চ মাত্রার শুল্ক নির্ধারণ করেনি।’

তবে ভারতের সঙ্গে ‘দুর্দান্ত একটি বাণিজ্য চুক্তি’ করা সম্ভব বলেও মনে করেন ট্রাম্প। লাস ভেগাসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমরা একটি দুর্দান্ত চুক্তি করতে পারি। তবে এতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। হতে পারে নির্বাচনের (চলতি বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন) পর আমরা এটা করতে পারি। দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।’

চুক্তি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকেই সবার আগে প্রাধান্য দেবেন, সেটি জানিয়ে দিতেও ভোলেননি ট্রাম্প, ‘চুক্তি তখনই হবে যখন সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সমুন্নত থাকবে। মানুষ পছন্দ করুক বা না করুক, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের স্বার্থই আমাদের কাছে সবার আগে।’

যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৩ শতাংশ হয় ভারতের সঙ্গে। ট্রাম্পের ভারত সফরে যেন একটি সন্তোষজনক বাণিজ্য চুক্তি হয়, সে ব্যাপারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিনিধি রবার্ট লাইটিজার টেলিফোনে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, ভারতে তাদের মেডিকেল ও ডেইরি পণ্যের বাজার আরও বড় হোক। এ ছাড়া প্রযুক্তি বিষয়ক পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হোক, এমন দাবিও জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।