প্রেসিডেন্টের জন্মদিনে ব্যতিক্রমী আয়োজন

সাইমনেতা সোমমারুগা।
সাইমনেতা সোমমারুগা।

আগামী ১৪ মে ৬০ বছরে পা দেবেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাইমনেতা সোমমারুগা। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তাঁর এবারের জন্মদিনটি মহা ধুমধামে উদ্‌যাপনে বেশ জোরেশোরেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে ব্যতিক্রমী আয়োজনে। সেখানে কোনো পদস্থ কর্মকর্তা বা গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নয়, দাওয়াত করা হবে সাইমনেতা সোমমারুগার সঙ্গে একই দিন জন্ম নেওয়া সুইস নাগরিকেরা।

সোমমারুগার জন্ম ১৯৬০ সালে। ওই বছর সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন ৯৪ হাজার ৩৭২ জন। সোমমারুগা যেদিন জন্মেছিলেন, সেদিন মোট কতজনের জন্ম হয়েছিল, তা জানা যায়নি। তবে ওই বছর দিনে গড়ে জন্ম নিয়েছেন প্রায় ২৫৮ জন। তাই সোমমারুগার জন্মদিনে কম–বেশি ২৫৮ জন আমন্ত্রণ পেতে পারেন।

তাই বলে সোমমারুগা যেদিনে জন্মেছেন, সেদিনে জন্মগ্রহণ করে থাকলেই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া যাবে না। এতে যোগ দিতে চাইলে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিবন্ধন করতে হবে। প্রেসিডেন্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে তাঁদের পাসপোর্টের কপি জমা দিতে হবে। জন্মতারিখের বিষয়টি নিশ্চিত হতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ভালো সাড়া পাবেন, আশাবাদ ব্যক্ত করে গত বৃহস্পতিবার টুইট করেন সোমমারুগা। সেখানে তিনি বলেন, ‘জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আপনারা নিবন্ধন করলে আমি খুবই খুশি হব।’ তবে কোথায় সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, সেটা গোপন রেখেছেন তিনি। সুনির্দিষ্ট করে না বললেও রাজধানী বার্নের কোনো এক জায়গায় অনুষ্ঠানটি হবে বলে জানান সুইস প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্টের জন্মদিন উদ্‌যাপন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, ২০২০ সালের ১৪ মে যাঁরা ৬০ বছরে পা দেবেন, কেবল তাঁরাই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন। আবেদনপ্রাপ্তির ভিত্তিতে নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষ এ সুযোগ পাবেন। এ জন্য আবেদনপত্রের তথ্য, সরবরাহ করা পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই–বাছাই করা হবে।

ইউরোপের সমৃদ্ধিশালী দেশ সুইজারল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট পদ সাধারণত আলংকারিক। প্রতিবছর পয়লা জানুয়ারিতে নতুন কেউ প্রেসিডেন্ট পদে বসেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয় শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে থেকে। সোমমারুগা সোশ্যালিস্ট পার্টির সদস্য। ২০১৫ সালে আরও একবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।