নেতাজির ভাইপোর স্ত্রী কৃষ্ণা বসু মারা গেছেন

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভ্রাতুষ্পুত্রবধূ সাবেক সাংসদ কৃষ্ণা বসু। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভ্রাতুষ্পুত্রবধূ সাবেক সাংসদ কৃষ্ণা বসু। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভ্রাতুষ্পুত্রবধূ, সাবেক সাংসদ কৃষ্ণা বসু মারা গেছেন। আজ সকাল ১০টায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

১৯৩০ সালের ২৬ ডিসেম্বর কৃষ্ণা বসুর জন্ম ঢাকায়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণা বসু অসুস্থ হলে তাঁকে ভর্তি করানো হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কৃষ্ণা বসু ইংরেজিতে এমএ পাস করেন। তারপর অধ্যাপনা করেন। কলকাতার সিটি কলেজের অধ্যক্ষও ছিলেন।

কৃষ্ণা বসু একটানা ৪০ বছর অধ্যাপনা করেন। তিনবার তিনি সাংসদ হন তৃণমূলের টিকিটে। ছিলেন তিনি লোকসভার পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন, নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোরও চেয়ারপারসন ছিলেন তিনি। একজন সুবক্তা হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তাঁর স্বামী ছিলেন নেতাজির ভ্রাতুষ্পুত্র শিশির বসু। শিশির বসুর বাবা ছিলেন নেতাজির ভাই শরৎ বসু। নেতাজি যখন জাপানে পালিয়ে যান, তখন শিশির বসু নিজেই গাড়ি চালিয়ে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিহারের গোমো স্টেশন পর্যন্ত।

দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল কৃষ্ণা বসুর। তাঁর ছেলে সুগত বসু একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ। তিনি ছিলেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের মেন্টরও।

কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ কলকাতার বিশিষ্টজনেরা। কৃষ্ণা বসুর ছেলে অধ্যাপক সুগত বসু তাঁর মায়ের পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথম সাংসদ হন। সুগত বসুও একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন।

কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুর পর তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে নেতাজি ভবনে রাখা হয় তাঁর মরদেহ। সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতির দলের নেতারা।