দিল্লিতে সংঘর্ষ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩

ভারতের দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৬ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত আছে। সেখানে সিএএ-বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১-তে দাঁড়িয়েছে। ছবি: রয়টার্স
ভারতের দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৬ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত আছে। সেখানে সিএএ-বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১-তে দাঁড়িয়েছে। ছবি: রয়টার্স

ভারতের দিল্লিতে সিএএ-বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩–তে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশের একজন সদস্যও রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংঘর্ষে দেড় শরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ৭০ জনের শরীরে গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, উত্তর–পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা, চান্দ বাগ ও কারাওয়াল নগরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় রাস্তায় লাঠিসোঁটায় সজ্জিত লোকেদের দেখা গেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দোকান। এদিকে এমন সংঘাত সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করার আরজি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৬ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকায় সেনা নামানোর প্রয়োজন হবে না।

এদিকে গতকালই ভারত সফরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফরের মধ্যেই দিল্লিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো। গতকাল প্রায় সারা দিনই উত্তর–পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় একের পর এক সংঘর্ষ ঘটতে থাকে। আহতদের মধ্যে অনেকেই পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে ৩৫ কোম্পানি আধা সেনা। কালকের ঘটনার পরেই উত্তর–পূর্ব দিল্লির বেশ কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করে হয়, উপদ্রুত এলাকাগুলোয় বন্ধ থাকবে সরকারি স্কুল।

এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব বিহারে পাস
বিহারে আজ মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায় পাস হয়েছে। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির (এপিআর) সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ করেছে নীতীশ কুমারের সরকার। প্রস্তাবের মূল বিষয়, রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করা হবে না এবং বিহার সরকারের শর্ত মানলে তবেই এনপিআর কার্যকর করা হবে।

বিধানসভায় নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, এনপিআর-এর ফর্ম থেকে আপত্তিকর অংশগুলি বাদ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

নীতীশ কুমার অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন যে, তাঁর রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করতে দেবেন না। এর সঙ্গে এনপিআর-এর আপত্তিকর অংশগুলি বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেই দুই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে বিধানসভায়।

এর আগে ভারতের পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় এনপিআর বিরোধী প্রস্তাব পাস করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি। বিহারে এর পাশাপাশি এনআরসি-ও যোগ করে দেওয়া হয়েছে।