ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ও এক সাংসদ করোনায় আক্রান্ত

ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরছি। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরছি। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরছি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় হারিরছি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া দেশটির এক সাংসদও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন।

ইরানে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯–এ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৯৫ জন। হারিরছি গতকাল সোমবারও তেহরানে এই ভাইরাস নিয়ে করা এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে তাঁর সঙ্গে সরকারের মুখপাত্র আলী রাবেইও উপস্থিত ছিলেন।

ভিডিও বার্তায় হারিরছি বলেন, ‘আমি গতকাল রাতে জ্বরে আক্রান্ত হই। স্বাস্থ্য পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায় আমার শরীরে (কোভিড-১৯) ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে। আমি ওষুধ নেওয়া শুরু করেছি। নিজকে অন্যদের থেকে আলাদা করে (আইসোলেশন) রেখেছি।’ ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বেশ সাহসীই দেখা গিয়েছে। তিনি সামনের সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে আবার জনগণের সেবার নিজ কাজে ফেরত আসবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। হারিরছি আরও বলেন, ‘আমি হৃদয় থেকে বলছি, আমরা এই ভাইরাসকে হারাবোই। এ ক্ষেত্রে ধনী-গরিব কোনো তারতম্য ঘটবে না।’

এদিকে তেহরানের এক সাংসদ জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মাহমুদ সাদেঘি নামের ওই সাংসদ টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমার করোনার পরীক্ষাটি ইতিবাচক...এই পৃথিবীতে জীবন চালিয়ে যাওয়ার খুব একটা আশা নেই।’

একই টুইটবার্তায় মাহমুদ আদেঘি দেশটিতে রাজনৈতিক কারণে বন্দী থাকা ব্যক্তিদের আপত্কালীন মুক্তি দেওয়ার জন্য বিচার বিভাগের প্রধানের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি মনে করেন, ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে এই সময় এসব বন্দীকে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হোক।

মঙ্গলবার ইরানে নতুন করে তিনজন এই ভাইরাসে মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১৫। আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৫। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে এই সংক্রমণ মূলত কোম শহর থেকে ছড়িয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা ‘পবিত্র নগর’ হিসেবে পরিচিত এই শহরে সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণ করেছেন। তথ্য সূত্র: আল–জাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ান