পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি: মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গে কারও শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে রাজ্য সরকার করোনাভাইরাস রোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে গড়া হয়েছে কুইক রেসপন্স টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। করোনা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সচিবালয় নবান্নে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্প লাইন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্যবাসীর অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলেই তা করোনা নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন’

করোনার নামে ওষুধ ও মাস্কের দাম নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওষুধ ও মাস্কের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সন্দেহে কলকাতার বেলাঘাটা আইডি হাসপাতালে ৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে আজ ভর্তি হয়েছে ৩ জন। এই তিনজন কলকাতার বাসিন্দা হলেও একজন সিঙ্গাপুর থেকে বাকি দুজন থাইল্যান্ড ও কুয়েত থেকে এসেছেন।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় করোনাভাইরাস রোধ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে । বেনাপোল এবং ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ বসিরহাটের এই সীমান্ত পথে বাংলাদেশ থেকে আসা ৪ জন অস্ট্রেলিয়ান ও একজন ইতালীয়কে ঢুকতে দেয়নি অভিবাসন কর্মকর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সীমান্তে করোনা ভাইরাসের ওপর কড়া নজরদারি রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।