দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

দক্ষিণ কোরিয়ার করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়ার করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ায় গতকাল শুক্রবার থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬৭–তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেন্টারস ফর ডিজিজ অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (কেসিডিসি)। গতকাল পর্যন্ত দেশটিতে মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪। বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে দেশটিতে ৬১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে এ রোগ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নতুন এ ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। অল্প দিনে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বিশ্বের ৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে।

এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশই ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তর জেনেভায় নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানাম বলেন, করোনা প্রতিরোধ শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়; প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ, বাণিজ্য, পরিবহন, তথ্যসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে এ কাজে নামতে হবে। জরুরি কর্মপরিকল্পনা এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিশ্বের অর্ধেকের বেশি এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যদেশের সরকারগুলোর উদ্দেশে টেড্রোস আধানাম বলেন, ‘রোগ শনাক্তের সক্ষমতা বৃদ্ধি করুন। হাসপাতাল প্রস্তুত রাখুন। অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিত করুন।’ দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই যে পর্যায়ের হুমকির মধ্যে আছি, কিছু দেশের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও কাজকর্ম তার সঙ্গে খাপ খায় না।’

করোনার বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। তাদের ওয়েবসাইট বলছে, গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা পর্যন্ত আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৫৮৩। আর আক্রান্ত দেশের সংখ্যা ছিল ৯৫। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৬০ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫ হাজার ৮৬৩ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু চীনেই ৮০ হাজার ৫৭৩ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ৪২ জন।