জার্মানিতে ৭০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে

জার্মানিতে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। স্থানীয় সময় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে রবার্ট কক ইনস্টিটিউটের সভাপতি লোথার ভিলার সাংবাদিকদের এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, জার্মানিতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। তবে কবে নাগাদ এই সংক্রমণের বিস্তার ঘটতে পারে, সেই বিষয় তিনি কিছু বলতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল উপস্থিত থাকলেও এই পরিসংখ্যানের বিষয়ে কিছু বলেননি। জার্মানিতে বর্তমানে ১ হাজার ৮৭০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনাভাইরাস বিষয়ে করণীয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো ও সরকার প্রধানেরা মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে, সম্মিলিতভাবে কাজের বিষয়ে ইইউ জোটভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন।

এই আলোচনা অনুষ্ঠানের পর পর, জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল, জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও রবার্ট কক ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে সবাইকে দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দেন ম্যার্কেল। তিনি বলেন, ইউরোপের প্রতিটি দেশে এই রোগের বিস্তার ঘটছে এবং সব দেশ কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নিজেদের বিচ্ছিন্ন না করে, একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে হবে।

ম্যার্কেল আরও বলেন, যেহেতু এই ভাইরাস ঠেকাতে কোনো টিকা নেই, তাই বিষয়টি স্পষ্ট, যে জনসংখ্যার একটি উচ্চ শতাংশ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাকে কারও অবহেলা করা উচিত নয় বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এই ভাইরাস আক্রান্তদের সংখ্যা কমিয়ে আনার ব্যাপারে সকল প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। জার্মান সরকার এই ভাইরাস রোধে বিশেষ অর্থের বরাদ্দ দিয়েছে।

করোনাভাইরাসে জার্মানিতে এই পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ (৮০১ জন) এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

জার্মানির সংক্রমণ রোগ বিষয়ের গবেষণা কেন্দ্র, রবার্ট কক ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সহজেই সংক্রমিত হয় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ভালো সংবাদ হলো যে ৮০ শতাংশ আক্রান্তের মধ্য কেবল এই ভাইরাসর হালকা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। আর ১৫ শতাংশ আক্রান্তরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুসারে এই করোনাভাইরাস থেকে ১ থেকে ২ শতাংশ আক্রান্তরা মারা যাচ্ছে।