করোনা মোকাবিলায় মোদির প্রস্তাবে পাকিস্তান রাজি

নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান । ফাইল ছবি
নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান । ফাইল ছবি

করোনার মোকাবিলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবে অবশেষে পাকিস্তানও রাজি হলো। যদিও দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সেই সম্মতির কথা জানানো হয়নি।

আজ শনিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অয়েশা ফারুকি জানান, সার্ক সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার যে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী মোদি দিয়েছেন, পাকিস্তান তাতে যোগ দেবে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ আধিকারিক (স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট) উপস্থিত থাকবেন।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে টুইট মারফত ওই প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, করোনার মোকাবিলায় সার্কের সব দেশের জোটবদ্ধ হওয়া উচিত। এমন একটা কৌশল বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, যাতে সবাই মিলে উপমহাদেশে এই ভাইরাসের সার্থক মোকাবিলা সম্ভব।

পাকিস্তান ছাড়া সার্কের অন্য সদস্য দেশের সবাই শুক্রবারেই মোদির প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। প্রথমে টুইট করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তারপর একে একে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনির মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকি। এমনকি সার্ক সচিবালয়ও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। কিন্তু শুক্রবার পাকিস্তান ছিল নীরব।

আজ সকালে নীরবতা ভেঙে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টুইট করেন। তাতে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম উচ্চারণ করা হয়নি। মোদির প্রস্তাবকে স্বাগত জানানোও হয়নি। শুধু বলা হয়, ‘বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক স্তরে কোভিড–১৯ এর সুসংহত মোকাবিলা প্রয়োজন। আমরা জানিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর (পাকিস্তানের) স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ আধিকারিক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সময় উপস্থিত থাকবেন।’

কাল রোববার সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সিং হওয়ার কথা। তবে পাকিস্তানের সম্মতি ভারতকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। সেই কারণে ভিডিও কনফারেন্সিং নিয়ে দোলাচল সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির ডাকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাড়া না দেওয়া অস্বস্তির প্রথম কারণ। দ্বিতীয়ত, সাত দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানি আমলার সম্ভাব্য উপস্থিতি মানানসই কি না, সেই প্রশ্নও ওঠে। আবার পাকিস্তান রাজি হওয়ার পর তাকে বাদ দিয়ে এই আলোচনা চালানোও যায় না।

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৮৪। বাংলাদেশে আক্রান্ত তিনজনই সুস্থ হয়ে গেছেন। পাকিস্তানে আক্রান্ত হয়েছে ২৮ জন।