ভারতে করোনা মোকাবিলায় রোববার ১৪ ঘণ্টার 'জনতা কারফিউ': মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী রোববার ভারতজুড়ে ১৪ ঘণ্টার ‘জনতার কারফিউ’ চলবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানান, ওই দিন সকাল সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সবাইকে অবশ্যই ঘরের মধ্যে থাকতে হবে। মোদি বলেছেন, জনতার কারফিউয়ের সময় কেউ বাড়িঘর ত্যাগ করতে পারবে না বা পাশের বাড়িতে যেতে পারবে না। যারা জরুরি সেবার কাজে আছে, শুধু তারাই ঘরের বাইরে যেতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে অকারণ হুড়োহুড়ি না করার আহ্বান জানিয়েছেন। মোদি বলেন, ‘রোববার বিকেল পাঁচটায় পাঁচ মিনিটের জন্য সবাই বাড়ির ব্যালকনি, জানালা বা দরজা খুলে যারা সেবার কাজের সঙ্গে আছে তাদের ঘণ্টা বাজিয়ে, তালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানাব।’

মোদি আজ বলেন, করোনাভাইরাস মানবতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। বিশ্বযুদ্ধে যত দেশ আক্রান্ত হয়েছিল, করোনায় এর চেয়ে বেশি দেশ আক্রান্ত হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক নেই। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের ভিড় উপেক্ষা করতে হবে, আর ঘরে থাকতে হবে।’

আজ ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৬। এই দিনেই পাঞ্জাবে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। এ নিয়ে ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা হলো চার। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাতজন ইন্দোনেশীয় নাগরিক।
করোনা মোকাবিলায় প্রতিদিন নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ভারতে। ২২ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত দেশে কোনো আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করবে না। দেশের সর্বত্র সব স্কুলের সব পরীক্ষা ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। পাঞ্জাবে সব ধরনের সরকারি যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার যান চলাচল কমাতে বলেছে। বিভিন্ন বিমান সংস্থা কর্মীর সংখ্যা কমাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রুপ বি ও সি কর্মীদের হাজিরা শিথিল করছে। বলা হয়েছে, ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হাজিরাতেই সরকার কাজ চালাবে। যানবাহনে ভিড় কমাতে কাজের সময়ে বদল ঘটানো হচ্ছে। যাঁদের বয়স ৬৫–র ওপরে, তাঁদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বহু বেসরকারি সংস্থা তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছে।