অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুতই বাড়ছে সংক্রমণ, ১০ লাখের চাকরি হারানোর শঙ্কা

অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুতই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২ হাজার ৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এর মধ্যে ৭ জনই মারা গেছে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে।

গত বৃহস্পতিবার রুবি প্রিন্সেস নামের যে প্রমোদতরিটি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নোঙর করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৩৩ যাত্রী পাওয়া গেছে। প্রমোদতরির যাত্রীদের মধ্যে ৭০ বছর বয়স্ক একজন আজ মঙ্গলবার সিডনির স্থানীয় সময় সকালে মারা গেছেন। ওই প্রমোদতরির ২ হাজার ৭০০ যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই জাহাজ থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

নিউ সাউথ ওয়েলসে গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে ১৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে আজ নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে এই রাজ্যে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৮১৮। অন্যদিকে, ভিক্টোরিয়াতে নতুন করে আরও ৬৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে সেখানে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪১১। এ ছাড়া কুইন্সল্যান্ডে নতুন করে আরও ৭৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৩৯৭ জন।

এদিকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে ফেডারেল সরকার সব ধরনের পানশালা, জিম, প্রার্থনালয় এবং গণজমায়েত বন্ধ করে দিয়েছে। তবে স্কুলগুলো এখনো খোলা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। অভিভাবকেরা চাইলে তাঁদের সন্তানদের বাড়িতেই রাখতে পারবেন।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজ্য অপরিহার্য নয়—এমন সেবা এবং স্কুল বন্ধ রাখতে চাইছে। কিন্তু ফেডারেল সরকার এখনই তা করতে চাইছে না। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরি রাজ্য আজ রাত থেকে শাটডাউন করার কথা রয়েছে। ফলে নতুন কোনো ঘোষণা না এলে এ তিন রাজ্যে আপৎকালীন পরিষেবা, সুপারমার্কেট, পেট্রল পাম্প, ওষুধের দোকান, কনভিনিয়েন্স স্টোর, মালামাল সরবরাহ প্রতিষ্ঠান এবং হোম ডেলিভারি বাদ দিয়ে বাকি সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে। এ নিয়ে এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলে আপাতত প্রায় ১০ লাখ লোক চাকরি হারাবেন। এর মোকাবিলায় অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার ইতিমধ্যে বড় বাজেটের প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।