চীনে নতুন করে করোনার আমদানি

চীনে করোনাভাইরাসের আরেক ধাক্কা শুরু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
চীনে করোনাভাইরাসের আরেক ধাক্কা শুরু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

চীন ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে বিদেশিদের চীনে ঢোকার সুযোগ দিয়ে বিপদে পড়তে যাচ্ছে দেশটি। আজ শুক্রবার দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন, যাঁরা দেশের বাইরে থেকে এসেছেন। দেশটিতে বিদেশিদের ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারির কয়েক ঘণ্টা পরই নতুন রোগী শনাক্ত হলো।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চীনের সংক্রমণের পরিমাণ নাটকীয়ভাবে কমেছে। সেখানে প্রতিদিন কেবল কয়েকজন স্থানীয় সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। তবে দেশটি ঠিক যখন মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনছে বলে মনে হচ্ছে, তখন বিশ্বজুড়ে অন্য দেশগুলো নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমাতে লড়াই করছে।

চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটিতে মোট ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যার মধ্যে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ১ জন। বাকি ৫৪ জন দেশের বাইরে থেকে আসা ব্যক্তি। বর্তমানে চীনে বেশির ভাগ চীনা নাগরিক বিদেশ থেকে ফিরে আসছেন, যাঁদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।

বৃহস্পতিবার চীনে ঢোকা ঠেকাতে নাটকীয় কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর মধ্যে ফ্লাইট কমানো। উড়োজাহাজে যাত্রী কমানোর পাশাপাশি বিদেশিদের দেশে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্তও রয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনে অবস্থানরত বিদেশিদের ভিসার মেয়াদ ও অবস্থানের অনুমতি থাকলে তাঁদের শুক্রবার মধ্যরাতের পর চীন ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। মহামারি ছড়ানো ঠেকাতে সাময়িক এ পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। তবে কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস ও জাহাজের ক্রুদের ক্ষেত্রে দেশে ঢোকার অনুমতি থাকবে।

সংক্রমণের তরঙ্গ ঠেকাতে আগমনের চেষ্টা ও প্রতিরোধের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটি। এর মধ্যে ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও রয়েছে। বেইজিং–ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো অন্য নগর কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যেখানে যাত্রীদের প্রথমে ভাইরাসের পরীক্ষা করা হবে। বেইজিং, সাংহাইসহ চীনা অনেক শহর বিদেশ থেকে আসা সবার জন্য ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনব্যবস্থা চালু করেছে।

ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার চীনে নতুন করে পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত বছরে যেখান থেকে এ ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছিল, সেই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন ওই পাঁচজন। চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৪০ জন। সেখানে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৯২ জন।