সৌদিতে কারফিউ আরও কঠোর

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সৌদি আরবে কারফিউ আরও কঠোর করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাগরিকদের কারফিউ মেনে বাড়ির ভেতর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে নতুন করে আরও ১১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত মানুষের সংখ্যা তিনে পৌঁছেছে। দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১২-তে পৌঁছেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মেদ আল আবদুল্লালি বলেন, ‘ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আমাদের নাগরিকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় ব্যক্তি মারা গেছেন। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি বিদেশি এবং তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের বেশি সুস্থ হয়েছে।’

দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, মক্কা, মদিনা ও রিয়াদে যাওয়ার সব রাস্তা সুরক্ষাব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে এমন লোকেরা আছে, যারা কারফিউটি মেনে চলার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বেপরোয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের নতুন নিয়ম হয়েছে। এখন ভিড় এড়িয়ে অনলাইনে কেনাকাটার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে রিয়াদ, মক্কা, মদিনায় বর্ধিত কারফিউ জারি করা হয়েছে, যা বেলা তিনটা থেকে শুরু হয়েছে, যা আগে সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হতো। গত সোমবার কিং সালমান এক আদেশ দেন, যাতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা বলা হয়।

সৌদি থেকে ফেরা ১০ হাজারের বেশি হাজিকে কোয়ারেন্টিন করেছে তুরস্ক। সেখান থেকে ফেরা একজনকে করোনাভাইরাসের রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সয়লু সৌদির বিরুদ্ধে তথ্য না দিয়ে অন্ধকারে রাখার অভিযোগ তুলেছেন। দেশটি থেকে ফেরার পর হাজিদের মধ্যে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটি। গতকাল সয়লু বলেন, তুরস্কসহ কোনো দেশকেই করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সম্পর্কে জানায়নি সৌদি আরব। তথ্যসূত্র: আল–জাজিরা