অস্ট্রেলিয়ায় নরসুন্দরেরা চুল কাটতে রাজি নন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। বজায় রাখা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। অস্ট্রেলিয়ায়ও সামাজিক নানা বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যেও দেশটিতে সেলুন খোলা আছে। তবে দেশটির চুল পরিচর্যাকারী ও নরসুন্দরেরা চুল কাটতে চাইছেন না।

দেশটিতে চুল কাটার জন্য প্রথমে ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়। পরে এই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে।

নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, চুল পরিচর্যাকারী ও নরসুন্দরেরা প্রয়োজনে এর চেয়ে বেশি সময় নিতে পারবেন। এ জন্য তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে চার বর্গ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অনেকে সেলুনগুলোও বন্ধ রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন। বিবিসি অনলাইনের খবরে জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি সূত্র বলছে, দেশটিতে ৩ হাজার ১৪৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।

এ সপ্তাহের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন করোনার সংক্রমণ রোধে নতুন বিধিনিষেধের ঘোষণা দেন। গত বুধবার থেকে দেশটিতে খেলার জায়গা, গ্রন্থাগার, জাদুঘর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সে সময় মরিসন বলেন, চুল পরিচর্যাকারী ও নাপিতেরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পারবেন। তাঁরা সীমিতসংখ্যক মানুষের চুল কাটবেন এবং ৩০ মিনিটের বেশি সময় নেবেন না।

তবে অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য চুল পরিচর্যাকারী প্রতিষ্ঠান জাস্ট কাটসের প্রধান নির্বাহী ডেনিস ম্যাকফেডেন বলেন, 'চুল কাটা বা পরিচর্যার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। সরকারের উচিত আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া।' নিজের প্রতিষ্ঠানের একটি শাখা থেকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এটা অর্থহীন। তিনি বলেন, 'আমি প্রতিদিন অন্যদের চুল স্পর্শ করছি। আমার প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীকেই তা করতে হচ্ছে। যত দিন চুল কাটার সেলুন বন্ধ করা না হবে, তত দিন আমাদের কর্মীদের জন্য কোনো সুব্যবস্থা কার্যকর হবে না। সেলুন বন্ধ হলে কর্মীরা সুরক্ষিত থাকবে। বাড়ির মালিকেরাও ভাড়ার ব্যাপারে সদয় হবেন।' তিনি সরকারের প্রতি সেলুন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাঁদের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ।