কলকাতায় 'করোনা হাসপাতাল' প্রস্তুত

কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ‘করোনা হাসপাতাল’ হিসেবে রূপান্তরিত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ৩ হাজার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে এই হাসপাতালের স্পেশালিটি ভবনকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে ৩০০ বেড দেওয়া হয়েছে। ১০ তলার এই ভবনে করোনা রোগের চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি ইতিমধ্যে শুরু হওয়ার কথা। বাকি ওয়ার্ডেও করোনা হাসপাতাল গড়ার প্রস্তুতি চলেছে।

জানা গেছে, এই করোনা হাসপাতালে যেসব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, সাত দিন করে সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর তাঁদের দুই সপ্তাহ থাকতে হবে হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে। তখন দায়িত্ব পালন করবেন আরেকটি চিকিৎসক দল, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা। এভাবে চলবে চিকিৎসা।

স্পেশালিটি ভবন ছাড়া বাকি সব বিভাগকেও আনা হয়েছে করোনা হাসপাতালের আওতায়।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা অন্যান্য রোগীদের ইতিমধ্যে হয় ছুটি দেওয়া হয়েছে, নয় তাদের রোগের গুরুত্ব অনুযায়ী অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কলকাতার রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের কোয়ারেন্টিন সেন্টারকেও ৫০০ বেডের দ্বিতীয় করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়া হচ্ছে। সেখানে এখন ৩০০ বেডের কোয়ারেন্টিন আছে। সেখানে রাখা হচ্ছে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের।

পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এই নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। তবে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা আর বাড়েনি। একজনই মারা গেছেন।

বন্দীদের জামিন ও প্যারোলে মুক্তি
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাত বছরের বেশি সময় ধরে থাকা বন্দীদের করোনার জেরে জামিন বা প্যারোলে মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিল্লির তিহার জেল থেকে ৪১৯ জন বন্দীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩৫৬ জন বন্দীকে ৪৫ দিনের অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। ৬৩ জনকে আট সপ্তাহের প্যারোলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

উত্তর প্রদেশ সরকার আট সপ্তাহের প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে ১১ হাজার বন্দীকে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ রয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী। আর বিচারাধীন বন্দী রয়েছেন ৮ হাজার ৫০০ জন। এই বন্দীরা উত্তর প্রদেশের ৭১টি কারাগারে ছিলেন।

মহারাস্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ ঘোষণা দিয়েছেন, রাজ্যের ৬০টি কারাগারে ১১ হাজার বন্দীকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে প্যারোল ও জামিনে।

করোনার সবশেষ
ভারতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবরে বলা হয়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯।

ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এর মধ্যে ১২টি রাজ্যে ২০ জন মারা গেছে।