পাকিস্তানে জামাতে নামাজের নিষেধাজ্ঞা না মানায় ইমামসহ আটক ৪৩

করাচির একটি মসজিদে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন এক কর্মী। ছবি: এএফপি
করাচির একটি মসজিদে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন এক কর্মী। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মসজিদে জামাতে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করায় দুই প্রদেশে ৪৩ জন জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও তত্ত্বাবধায়ক রয়েছেন। পাকিস্তানের বহুল পঠিত ডনের পত্রিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আটক ব্যক্তিদের ৩৮ জন সিন্ধু প্রদেশের। বাকি ৫ জন পাঞ্জাবের। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুই প্রদেশের সরকার।

পাকিস্তানের সাতটি প্রদেশের একটি সিন্ধু সরকারের মুখপাত্র মুর্তজা ওয়াহাব গত বৃহস্পতিবার এক টুইটার বার্তায় মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, উলামা ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডনের খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রাদেশিক সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ মানুষ আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন না। এর আওতায় পবিত্র জুমার নামাজও রাখা হয়েছিল। তবে মসজিদে নামাজ একেবারেই বন্ধ করেনি সরকার। সিন্ধু সরকারের মুখপাত্র মুর্তজা ওয়াহাব জানিয়েছিলেন, মসজিদ কর্মীসহ মোট পাঁচজন জামাতে নামাজ পড়তে পারবেন।

একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ডনকে বলেন, শুক্রবার পবিত্র জুমার দিন মসজিদে উপস্থিতি কম ছিল। তবে সব ধরনের মতবাদের অনুসারীরাই সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেছেন। এমনকি যেসব মতবাদের ধর্মীয় নেতারা সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে ছিলেন, তাঁদের অনুসারীরাও অনেকে নিষেধাজ্ঞা মানেননি।

যাঁরা নিষেধাজ্ঞা মানেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ফৌজদারি কার্যবিধির তিনটি ধারায় প্রাথমিক তথ্যবিবরণী বা এফআইআর দাখিল করা হয়েছে। এসব ধারায় সরকারি কাজে সহায়তা না করা, বাধা দেওয়া ও মহামারি রোধের ক্ষেত্রে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ডনের আরেক খবরে জানানো হয়, পাঞ্জাব সরকারও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তা না মানায় পাঁচজন ইমামকে আটক করা হয়।

পাকিস্তানের জিও টিভির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৫ জন। এর মধ্যে সিন্ধু ও পাঞ্জাবে রোগীর সংখ্যা বেশি। সিন্ধুতে ৫০৮ জন ও পাঞ্জাবে ৫৯৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ১৯ জন। এর মধ্যে সিন্ধুতে ৫ ও পাঞ্জাবে ৬ জন রয়েছেন।