করোনায় কষ্টে পড়েছে থাইল্যান্ডের হাতিগুলো

পর্যটক না থাকায় বেকার হয়ে থাইল্যান্ডের হাতিগুলো। ছবি: এএফপি
পর্যটক না থাকায় বেকার হয়ে থাইল্যান্ডের হাতিগুলো। ছবি: এএফপি

ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম প্রিয় পর্যটনকেন্দ্র থাইল্যান্ড। এখানে আসা পর্যটকদের আনন্দ-বিনোদনের জন্য রয়েছে প্রায় দুই হাজার হাতি। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গোটা বিশ্ব অবরুদ্ধ। হাতিগুলোও বেকার, আয় নেই এসব হাতির মালিকদের। তাই হাতির খাবার জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। অবৈধ কাজে হাতির ব্যবহারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর এএফপির।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বড় আকারের একটি হাতির জীবন ধারণে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ কেজি খাবার প্রয়োজন। এটা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকারের কাছে থেকে জরুরি কোনো সহায়তা না পেলে চিড়িয়াখানা বা চোরাকারবারিদের কাজে ব্যবহারের জন্য বিক্রি হয়ে যেতে পারে এসব হাতি।

উত্তর থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই হাতি ক্যাম্পের একজন মাহুত (হাতির রক্ষণাবেক্ষণকারী) বলেন, ‘মালিক চেষ্টা করছে, কিন্তু হাতে টাকা নেই। বাধ্য হয়ে কঠিনভাবে খাবার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’

থাইল্যান্ডের পর্যটকদের মধ্যে বেশির ভাগই চীনের। গত জানুয়ারিতে চীন অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকেই পর্যটক কমতে থাকে। পরে থাইল্যান্ডেও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। থাই এলিফ্যান্ট অ্যালায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি থিরাপাত ত্রাংপারাকান জানান, প্রায় দুই হাজার হাতি বেকার হয়ে গেছে। টাকার অভাবে অল্প খাবার দেওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে হাতিগুলো। মাহুতদের বেতন কমে গেছে ৭০ শতাংশ।

জানা গেছে, থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে হাতি চোরাকারবারিরা সক্রিয় আছে। চোরাই কাঠ পরিবহনে ব্যবহার করা হয় হাতি; যদিও ৩০ বছর ধরে এটি নিষিদ্ধ করা আছে থাইল্যান্ডের আইনে। এলিফ্যান্ট রেসকিউ পার্কের পরিচালক এপিচেত ডুয়াংদি জানান, দিনে এক হাজার থাই বাথ (প্রায় তিন হাজার টাকা) প্রয়োজন। এ প্রয়োজন মেটাতে অনেকে ঋণ নেওয়ার কথাও ভাবছে।