সফটওয়ার টুল শনাক্ত করবে করোনা

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ফুসফুসের সিটি স্ক্যানের সামনে সফটওয়্যারটির সহউদ্ভাবক সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর স্টুয়ার্ট গ্রিভ—ছবি সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সৌজন্যে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ফুসফুসের সিটি স্ক্যানের সামনে সফটওয়্যারটির সহউদ্ভাবক সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর স্টুয়ার্ট গ্রিভ—ছবি সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের সৌজন্যে

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে একটি সফটওয়্যার টুল বানিয়েছেন। এই টুল দিয়ে সহজেই করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। আর এই সুবিধা অনলাইনে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো চিকিৎসক নিতে পারবেন বিনা মূল্যে।

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড–এ নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত শনাক্ত করতে সহায়তা করার জন্য একটি ডায়াগনস্টিক সফটওয়্যার টুল বানিয়েছেন। এই সফটওয়্যার দিয়ে রোগীর বুকের সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করে খুব সহজেই করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এই টুলটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনা মূল্যে পৃথিবীর সব চিকিৎসকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবী যেকোনো চিকিৎসক যেকোনো জায়গা থেকে এই www.detectedx.com ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করে এই টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিয়েশন চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক প্যাট্রিক ব্রেনান বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যাপক হারে ‘কোভিড’ নামক এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে হাজার হাজার মানুষকে বাঁচাতে পারবেন।

অন্যদিকে, সফটওয়্যারটির সহউদ্ভাবক সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টুয়ার্ট গ্রিভ বলেন, এই সফটওয়্যারটি শুধু শনাক্তকরণ নয়, উন্নত চিকিৎসা দেওয়াও সহজ করে দেবে। কারণ ফুসফুসের অন্যান্য অবস্থার লক্ষণগুলোও যখন শনাক্ত হবে, তখন জটিল কিছু থাকলে তার চিকিৎসা করাও যাবে সহজে।

করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি
অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে আক্রান্তের মাত্রা রেখা সমতল রয়েছে। এতে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। তবে এখন পর্যন্ত এ দেশে কোন বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবরে জানা যায়, রাজ্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় ৯১৭, কুইন্সল্যান্ডে ৭৪৩, সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ৩৩৭, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় ৩৬৪, ক্যানবেরায় ৮০, তাসমানিয়ায় ৬৯ ও নর্দান টেরিটরিতে ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য কর্তৃপক্ষ। আজ থেকে কোন যুক্তিসংগত কাজ ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে ১১ হাজার ডলার জরিমানা অথবা ৬ মাসের জেল হতে পারে।