দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে তাকিয়ে ১২১ দেশ

দক্ষিণ কোরিয়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ছবি: রয়টার্স
দক্ষিণ কোরিয়া করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন কোনো এক জাদুবলে তা আয়ত্তে রাখছে দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্বের ১২১টি দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় সাহায্য করার অনুরোধ করেছে। এ রোগের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যাপক চাপের মুখে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, চীনের পর সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটির করোনা বিস্তার রোধে ব্যাপক পরীক্ষা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার মতো পদ্ধতিগুলো প্রয়োগের কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রাথমিক বিস্তার ঠেকানোর অভিজ্ঞতা থাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা প্রচুর অনুরোধ পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ১২১টি দেশ অনুরোধ করেছে। প্রতিদিন অনুরোধ আরও বাড়ছে।

দেশগুলোকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, তা ঠিক করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা শনাক্তকরণ কিট রপ্তানি ছাড়াও মানবিক সাহায্যের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা কোনো নির্দিষ্ট দেশের নাম বলেননি। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার টেস্ট কিট উৎপাদকদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালির মতো বিভিন্ন দেশ চুক্তি করেছে বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করার অনুরোধ করেন। এ ক্ষেত্রে মার্কিন নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার করোনাভাইরাস কিটের চাহিদা বাড়ায় উৎপাদন বাড়িয়েছে দেশটির বায়োটেক ফার্মগুলো। এতে তাদের শেয়ারের দাম তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ফিনল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মেহিলাইনেনের করোনাভাইরাস টেস্ট কিট পরীক্ষা করছে। ওই কোম্পানির ১৮ হাজার নমুনা আগামী দুই সপ্তাহে পরীক্ষা করবে দক্ষিণ কোরিয়া। মেহিলাইনেন বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার পরীক্ষাগারের সহযোগিতা নিয়ে টেস্টিং কিট তৈরি করছে তারা। সেখানে পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে।

ফিনল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা খাতের পক্ষেও টেস্ট কিটের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে ১১৮টি সরকারি পরীক্ষাগার ব্যবহারে সুযোগের কথা বলা হয়েছে।