মার্কিন সাংবাদিক পার্ল হত্যায় শেখের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার

২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লক অপহরণ ও হত্যা করা হয়। ছবি: এএফপি
২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লক অপহরণ ও হত্যা করা হয়। ছবি: এএফপি

ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত জঙ্গি আহমেদ ওমর সাঈদ শেখের মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহার করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি আদালত সাঈদ শেখের মৃত্যুর দণ্ডাদেশ প্রত্যাহার করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ২০০২ সালে মার্কিন সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্লকে হত্যার দায়ে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শেখের আইনজীবী খাজা নাভিদ এএফপিকে এ তথ্য জানান।

নাভিদ বলেন, সাঈদ শেখ যেহেতু ২০০২ সাল থেকে কারাগারে, কাজেই সাত বছরের করাভোগের সময় এর মধ্যে পার হয়ে গেছে। তাঁকে আদালত মুক্তির নির্দেশ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু আদালত এখনো সে নির্দেশ দেননি।

২০০২ সালে করাচিতে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোপ্রধান পার্লকে (৩৮) অপহরণ করা হয়। করাচিতে তাঁর শিরশ্ছেদ করা হয়। ইসলামপন্থী জঙ্গিদের নিয়ে তিনি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন তৈরির কাজ করছিলেন। এক মাস পরে পার্লের শিরশ্ছেদের একটি ভিডিও মার্কিন কনস্যুলেটে পাঠানো হয়েছিল।

শেখকে ২০০২ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তাঁর অন্য তিন সহযোগীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ল প্রজেক্ট প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়, সাংবাদিক পার্ল হত্যায় ভুল ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

পার্লের বন্ধু ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাবেক সহকর্মী আসরা নোমানির নেতৃত্বে জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক এই অনুসন্ধান কাজ চালান। এতে দাবি করা হয়, পার্লকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার মূল হোতা খালিদ শেখ মোহাম্মদ হত্যা করেছেন।

খালিদ শেখ মোহাম্মদ কেএসএম নামে পরিচিত। ২০০৩ সালে পাকিস্তানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দী। কেএসএমের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন—এমন একজন মার্কিন মনোবিদ জানান, পার্লের শিরশ্ছেদ করার কথা কেএসএম তাঁর কাছে স্বীকার করেছেন।