করোনা কাড়ল ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ

চার মাসেই ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল নতুন করনোভাইরাস (কোভিড-১৯)। ১৮০ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এখন ৫০ হাজার ২৩০। শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল এখন ইউরোপ। যদিও ধীরে ধীরে সেই কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র। মৃতের সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দুটি দেশই এখন ইউরোপের। সবার ওপরে আছে ইতালি, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ হাজার ৯১৫ জন। প্রাণহানিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে স্পেন, ১০ হাজার ৩ জন। এরপর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিএনএন বলছে, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০৩। হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে মারা গেছেন ৪ হাজার ৩২ জন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে করোনার উৎপত্তিস্থল চীন। দেশটিতে এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রাণ গেছে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৭ জনের। মৃতের সংখ্যায় ষষ্ঠ স্থানে থাকা ইরানে মারা গেছেন ৩ হাজার ১৬০ জন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯২১।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, করোনাভাইরাসে রোগী শনাক্তের সংখ্যার দিকে দিয়ে এখন শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৭২২ জন। এরপরই আছে ইতালি, ১ লাখ ১৫ হাজার ২৪২ জন। রোগী শনাক্তের দিক থেকে এরপর আছে স্পেন, ১ লাখ ১০ হাজার ২৩৮। চতুর্থ স্থানে থাকা চীন (৮২,৪৩১), জার্মানি (৮১,৭২৮) ও ফ্রান্স (৫৭,৮০৭)। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ৪৬৮।

সুস্থ হওয়ার সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে চীন। বিশ্বজুড়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৬০৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে চীনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। স্পেনে সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ। জার্মানিতে ১৯ হাজার ১৭৫ জন, ইতালিতে ১৮ হাজার ২৭৮ ও ইরানে ১৬ হাজার ৭১১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬। দেশে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত দেশে ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।