ভূপৃষ্ঠে মানবসৃষ্ট কম্পন কমে গেছে

বেলজিয়ামের রয়্যাল অবজারভেটরির সিসমোগ্রাফে মানবসৃষ্ট ভূকম্পন কমতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
বেলজিয়ামের রয়্যাল অবজারভেটরির সিসমোগ্রাফে মানবসৃষ্ট ভূকম্পন কমতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের সরকার লকডাউন ও কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে। এতে বিশ্বজুড়ে মানবসৃষ্ট ভূকম্পনের মাত্রা কমে গেছে। বিভিন্ন দেশের ভূপৃষ্ঠে ভূকম্পন পরিমাপক যন্ত্র সিসমোমিটারের রেকর্ডকৃত তথ্যে এই পরিস্থিতির কথা জানা গেছে। ফোর্বস অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিসমোমিটার ভূত্বকের কম্পন পরিমাপক যন্ত্র হিসেবে ভূমিকম্প, অগ্ন্যুত্পাত বা অন্য যেকোনো কারণে ঘটা ভূত্বক বা ভূগর্ভস্থ কম্পনের তীব্রতা মাপতে ব্যবহৃত হয়। এই কম্পন-তীব্রতার তথ্য-উপাত্ত ভূতত্ত্ববিদদের ভূগর্ভের মানচিত্র তৈরি, ভূমিকম্পের উত্স এবং তীব্রতা বিশ্লেষণে সাহায্য করে।

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আধুনিক সিসমোমিটার এত স্পর্শকাতর যে, তাতে মানুষের প্রতিদিনের সৃষ্ট নানা শব্দের ধরনগুলো ডেটা রেকর্ডকে ব্যাহত করতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বাড়িতে রয়েছে। ব্যবসা ও কল কারখানা বন্ধ থাকার পাশাপাশি শহরে মানুষের চলাচল কমেছে। বিশ্বজুড়ে এই মানুষ চলাচলের হার কমে যাওয়ার বিষয়টি সিসমোমিটারের রেকর্ডিংয়েও দৃশ্যমান হচ্ছে।

বেলজিয়ামের রয়্যাল অবজারভেটরির সিসমোগ্রাফ স্টেশন থেকে একটি গ্রাফ প্রকাশ করা হয়েছে যাতে গত দুই সপ্তাহে মানবসৃষ্ট ভূকম্পনের চিত্রটি উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, মানুষের কার্যকলাপের যে কম্পন তা এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। ইতালির মিলানের সিসমোগ্রাফ স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারির প্রভাবে ইতালির শিল্প এলাকাগুলোতে জনসমাগম কমে গেছে। সেখানে দিনের বেলা ভূকম্পন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমে গেছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন স্টেশন থেকেও দিনের বেলা ভূকম্পনের মাত্রা কমতে দেখা গেছে।