যুক্তরাষ্ট্রের যে অঙ্গরাজ্যে করোনা এখনো প্রাণঘাতী নয়

নিউইয়র্কে যখন করোনা-আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, তখন ওয়াইওমিংয়ে এখনো কেউ মারা যায়নি। ছবি: রয়টার্স
নিউইয়র্কে যখন করোনা-আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, তখন ওয়াইওমিংয়ে এখনো কেউ মারা যায়নি। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যই এখন নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রায় প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই কেউ না কেউ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম ওয়াইওমিং অঙ্গরাজ্য। অঙ্গরাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ১৮৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যায়নি বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ তালিকায় ওয়াইওমিংয়ের সঙ্গে ছিল হাওয়াইও। কিন্তু সেখানেও এখন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছে। ফলে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি এমন মার্কিন অঙ্গরাজ্য এখন শুধু ওয়াইওমিং।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ। আর মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৮ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা নিউইয়র্কে। শুধু নিউইয়র্ক নগরেই ৬৩ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় ওয়াইওমিংয়ের পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।

তবে অঙ্গরাজ্যটির সীমান্ত এখনো বন্ধ না করায় এর বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ, আশপাশের অঙ্গরাজ্য থেকে অনেকে এসে সেখানে বাজার-সদাই করছে। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।

এ অবস্থায় ওয়াইওমিংয়ের গভর্নর মার্ক গর্ডন সীমান্ত এলাকার দোকানমালিকদের দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অন্য অঙ্গরাজ্য থেকে লোকেরা এসে সীমান্তবর্তী কাউন্টিগুলো থেকে বাজার করছে। এ ক্ষেত্রে দোকানমালিকদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে, যাতে আমাদের সব সরবরাহ অন্য অঙ্গরাজ্যে চলে না যায়।’

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এখনো সীমান্ত বন্ধ করা না হলেও অঙ্গরাজ্যের ভেতরে থাকা সব উদ্যানে ক্যাম্পিং বন্ধ করা হয়েছে। পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত অঙ্গরাজ্যটিতে প্রতি দিন বহু লোক অন্য অঙ্গরাজ্য থেকে আসেন। কিন্তু এখন সেখানকার জনপ্রিয় উদ্যানগুলোয় ক্যাম্প করে থাকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মার্ক গর্ডন বলেন, ‘আমাদের উদ্যানগুলো এখনো উন্মুক্ত, তবে তা শুধু ঘুরে বেড়ানোর জন্য। এসব উদ্যানে রাতে থাকা যাবে না।