ট্রাম্পের চাপের কাছে ভারতের নতি স্বীকার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই নীতি বদলাল ভারত। জানাল, করোনায় যে সব দেশ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ করবে।

দুই দিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তখনই তিনি অনুরোধ করেন, ভারত যেন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল সরবরাহে রাজি হয়। করোনার প্রতিষেধক হিসেবে এই দুই ওষুধ খুবই কার্যকর ভূমিকা নেবে। ট্রাম্প এ কথাও বলেছিলেন, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তিনি নিজেও ওই ট্যাবলেট খাবেন।

ট্রাম্পের ওই অনুরোধে ভারত বিপাকে পড়ে। কারণ, প্রথমত দেশে ওই ওষুধের চাহিদা প্রবল অথচ সরবরাহ কম। সেই কারণে রপ্তানির ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞায় আংশিক ছাড় তুলে নিয়ে ৪ এপ্রিল ওই ওষুধ রপ্তানির ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। দ্বিতীয়ত, মাত্র কয়েক দিন আগে সার্বিয়াকে গ্লাভস রপ্তানির অনুমতি দিয়ে ভারতকে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। ওই কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুরোধ সত্ত্বেও ভারত তার সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেনি। এই অবস্থায় হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ওষুধ সরবরাহ না করলে ভারতকে ফল ভুগতে হবে।

এই হুমকির মুখে আজ মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, করোনা বিপর্যয়ের মোকাবিলায় ভারত ঠিক করেছে, প্রতিবেশী যেসব দেশ ভারতের মুখাপেক্ষী, তাদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল ওষুধ সরবরাহ করা হবে। বিশ্বের অন্য যে দেশগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদেরও ওই ওষুধ দেওয়া হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,ভারত বরাবরই আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক সম্প্রতি দুটি সংস্থাকে ১০ হাজার কোটি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সরবরাহের বরাত দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই দুই ওষুধ সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একটা সুযোগ ভারত খুঁজছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনা মোকাবিলায় ভারতকে ২৯ লাখ ডলার সাহায্য দেবে জানিয়েছে। দুই দেশের কূটনীতিক সম্পর্কও হৃদ্যতাপূর্ণ।