করোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে, ৭ 'হটস্পট' চিহ্নিত

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বামফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বামফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাতটি এলাকাকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখন ওই সব এলাকার ওপর রাজ্য সরকার নজরদারি শুরু করেছে। পাশাপাশি সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্য সরকার বলেছে, যে এলাকায় ২০ জন করোনা রোগীর সন্ধান মিলবে, সেই এলাকাকেই হটস্পট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। গতকাল মমতা যে সাত এলাকাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেগুলো হলো, দার্জিলিংয়ের কালিম্পং, নদীয়ার তেহট্ট, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কলকাতা এবং কমান্ড হাসপাতাল।

গতকাল বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় নবান্নে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টের নেতারা করোনা নিয়ে এক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে। সেখানে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, রাজ্য সিপিএমের সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরএসপির সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা শৈবাল চ্যাটর্জি, বলশেভিক পার্টির নেতা প্রবীর ঘোষ, আরসিপিআই নেতা মিহির বাইন, মার্ক্সবাদী ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা জয়হিন্দ সিং, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা প্রমুখ যোগ দেন। বৈঠকে বাম দলের প্রতিনিধিরা জানান, করোনা মহামারি রোধে রাজ্যের সব দলকে একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। গুজব বন্ধ করতে হবে। করোনার চিকিৎসা, গরিবদের আহারসহ দুস্থ মানুষদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার দাবি করেন তাঁরা। রিলিফ সূচারুরূপে বণ্টনের ওপরও বাম নেতারা জোর দেন।

১৪ এপ্রিল শেষ হবে ভারতের ৩ সপ্তাহের লকডাউন। এরপর লকডাউন বাড়ানো হবে কি না, সেই প্রশ্নে এখনো সংশয় কাটেনি দেশজুড়ে। বেশ কটি রাজ্য তাদের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিচার করে এখনই ওঠাতে চাইছে না লকডাউন। তারা চাইছে আরও কিছুদিন চলুক এই লকডাউন।

তবে কেন্দ্রীয় সরকার এখনো লকডাউন তুলবে কি না, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি। ১২ কিংবা ১৩ এপ্রিল এই লকডাউন নিয়ে পর্যালোচনা এবং সমীক্ষা করার পর সিদ্ধান্ত দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এমনও ইঙ্গিত মিলছে কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের করোনার হটস্পটগুলোকে এই মুহূর্তে লকডাউনের আওতা থেকে বাদ দেবে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশের ৪২টি এলাকাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।