টাকা নয়, চাল বের হচ্ছে এটিএমে

এটিএম থেকে চাল নিচ্ছেন এক নারী। হো চি মিন সিটির এই মেশিনটি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। ভিয়েতনাম, ১১ এপ্রিল। ছবি: রয়টার্স
এটিএম থেকে চাল নিচ্ছেন এক নারী। হো চি মিন সিটির এই মেশিনটি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। ভিয়েতনাম, ১১ এপ্রিল। ছবি: রয়টার্স

টাকা নয়, চাল বের হচ্ছে অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) দিয়ে। গল্প নয় সত্যি এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামে। করোনাকালে যে কয়টা দেশে এখনো প্রাণহানি শূন্য, তার মধ্যে ভিয়েতনাম অন্যতম। এই ভাইরাস যেন কোনোভাবে বিস্তার ঘটাতে না পারে, সে জন্যই অভাবী মানুষের জন্য নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিনব এই উদ্যোগে সহায়তা করছে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ী ও দাতারা। করোনা পরিস্থিতিতে যেসব মানুষের আয়-রোজকার বন্ধ হয়ে গেছে সেসব মানুষ সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তাদের প্রয়োজনীয় চাল নিতে পারবেন এসব এটিএম থেকে।

একজন ব্যক্তিকে বিনা মূল্যে চাল পেতে দুটি কাজ করতে হয়। প্রথমত, একজনকে আরেকজন থেকে ছয় ফিট দূরে দাঁড়াতে হয়। আর দ্বিতীয় কাজটি হলো, এটিএম থেকে চাল নেওয়ার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হয়।

শূন্য প্রাণহানির ভিয়েতনামে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২৬৫ জনের শরীরে। বিশ্বে যে কয়টা দেশকে করোনা প্রতিরোধে সফল বলে ধরা হয়, তার মধ্যে এই দেশটি অন্যতম ও প্রথম সারির।

চালের এই এটিএম দেশটির বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী হেনয়ে এটিএমের চাল রাখা হয়েছে বিশাল আকারের একটি পানির ট্যাংকে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এখানকার এটিএমটি খোলা থাকে। আবার হো চি মিন সিটির এটিএমটি খোলা থাকছে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা। দেশটির কেন্দ্রীয় শহর হিউতে এই এটিএম রাখা হয়েছে একটি কলেজে। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারের দু কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ভিএনএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দা নঙ সিটিতে আগামী সপ্তাহে আরও দুটি চালের এটিএম বসতে যাচ্ছে।