জার্মানিতে দ্রুত লকডাউন ব্যবস্থা প্রত্যাহারের সমালোচনা

আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফাইল ছবি
আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফাইল ছবি

জার্মানিতে দ্রুত লকডাউন ব্যবস্থা প্রত্যাহারের পক্ষে যাঁরা কথা বলছেন, তাঁদের সমালোচনা করেছেন দেশটির চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল। চার সপ্তাহ ধরে জার্মানিজুড়ে লকডাউন বিধি জারি থাকার পর আজ সোমবার লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে আবার জার্মানিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল দ্রুত লকডাউন ব্যবস্থা প্রত্যাহারের সমালোচনা করেছেন।

জার্মানিতে লকডাউন ব্যবস্থা কীভাবে ক্রমান্বয়ে শিথিল করা যায়, সেই বিষয়ে ১৬ এপ্রিল জার্মানির চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ১৬ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে ভিডিও আলোচনা করেন। এরপর বিদ্যমান লকডাউন কিছুটা শিথিল করা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।

 আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ‘জার্মানিতে লকডাউন ব্যবস্থার কারণে আমরা এই যাবৎ যে সুফল পেয়েছি, তা ধরে রাখবার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

 জার্মানির সংক্রমণ রোগ বিষয়ের গবেষণা কেন্দ্র রবার্ট কক ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে ১ হাজার ৭৭৫ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে। এই সময়ে ১১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। জনগণকে সতর্ক করে জার্মানির চ্যান্সেলারের দপ্তরের প্রধান হেলগা ব্রাউন বলেছেন, প্রাথমিক শিথিল ব্যবস্থা বহাল হলেও, অন্য বিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা প্রয়োজন।

 আজ সোমবার থেকে লকডাউন ব্যবস্থার প্রথম ধাপে যে শিথিলতা আনা হয়েছে, তা হলো—৮০০ বর্গমিটারের বড় নয় এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়ি, সাইকেল, টায়ার, আসবাবপত্র, টেলিফোন, বইয়ের দোকানগুলো আবার খুলেছে। তবে বার্লিন ও ব্রার্ন্ডেনবুর্গ রাজ্যে এই নিয়ম আগামী বুধবার থেকে কার্যকর হবে। কিছু রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সোমবার থেকে শুরু হয়েছে। তবে জার্মানিতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

 জার্মানিতে লকডাউনে কিছুটা শিথিলতা এলেও, মানুষ খুব সতর্কতার সঙ্গে ও দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছে। জনসাধারণ বাইরে বা বাস, ট্রেন বা ট্রামে মাস্ক ব্যবহার করবে কি না, সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জার্মানির ব্যাভেরিয়া রাজ্যে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

 সোমবার দুপুর পর্যন্ত জার্মানিজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮১ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৩ হাজার ৪৩৮ জন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ৭০০ মানুষ। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত জার্মানিতে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছে।