শান্তিপূর্ণভাবে পবিত্র রমজান পালনে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ

কলকাতা পুলিশ
কলকাতা পুলিশ

করোনার জেরে গোটা ভারতে এখন চলছে লকডাউন। লকডাউনে আছে পশ্চিমবঙ্গও। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দোকানপাট খুলেছে।প্রতিটি দোকান অর্ধেক কর্মচারী নিয়ে খুলতে পারবে। তাঁদের সাইকে মাস্ক পরতে হবে ও দূরত্ব বজায় রেখে দোকান চালাতে হবে। তবে এখনো শপিংমল, মার্কেট কমপ্লেক্স স্পা, সিনেমা হল, মদের দোকান, সেলুন, রেস্তোরাঁ, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, থিয়েটার, বার, অডিটরিয়াম বন্ধই আছে।

ভারতের করোনার হটস্পট এলাকার তালিকায় রয়েছে কলকাতার নামও। ফলে লকডাউন বিধি মানার জন্য কলকাতা পুলিশ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

এই লকডাউনের মাঝেই গতকাল থেকে শুরু হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র রমজান মাস। কলকাতাবাসী যাতে এই মাস ধর্মীয় ভাবাবেগে পালন করতে পারেন সেজন্য কলকাতা পুলিশও সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা মহানগরের ৬৯টি থানাকে এক বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে যাতে কলকাতার সংখ্যালঘু মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে রমজান পালন করত পারে সেজন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কলকাতা পুলিশের আওতায় রয়েছে ৮টি ডিভিশন । ২৪৩ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত কলকাতা পুলিশের এই থানা এলাকা। এই এলাকার মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে বাস করেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা। করোনাভাইরাসের কারণে কলকাতা পৌর কর্পোরেশন এবং কলকাতার পুৃলিশ রেডস্পট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এলাকার ওপর বিশেষ নজর রাখতে বলেছে। ইতিমধ্যে যেসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে আছে, সেই সব এলাকাকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকিয়ে রেখেছে। এই ব্যারিকেড ভেঙে যাতে ওইসব এলাকার মানুষজন বাইরে আসতে না পারে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

অনুজ শর্মা প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ওইসব এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পবিত্র রমজান মাসে যাতে করে খাবার এবং ফলমূল থেকে বঞ্চিত না হন সেদিকে পুলিশকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি ওই এলাকায় খাবার ও ফলমূলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলেছেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, যাঁরা বাজারে যাবেন ফলমূল ও খাবার কিনতে তাঁদের মুখে মাস্ক পরে যেতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যেসব বাজারে ভিড় হচ্ছে সেইসব বাজারে কড়াভাবে লকডাউন মানার নির্দেশ মানতে হবে। এমনকি কলকাতার ফলের বৃহৎ বাজার মেছুয়া এবং পোস্তা বাজারে ওয়াচ টাওয়ারও বসানো হয়েছে। রাখা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। অনুরোধ করা হয়েছে প্রতিটি মুসলিম পরিবার যেন এবার রমজানের নামাজ ও তারাবির নামাজ নিজ নিজ বাসভবনে আদায় করেন।