করোনাভাইরাস: বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়

বিধিনিষেধের কারণে সুনসান সিডনির বিখ্যাত ডার্লিং হারবার। ছবিটি আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় তোলা। ছবি: প্রথম আলো
বিধিনিষেধের কারণে সুনসান সিডনির বিখ্যাত ডার্লিং হারবার। ছবিটি আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় তোলা। ছবি: প্রথম আলো

অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণের হার গত ১৫ দিনে অনেক হ্রাস পেয়েছে। দেশটিতে আজ সোমবার নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মাত্র ৯ জন। ফলে দেশটির কয়েকটি রাজ্য কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে।

তবে দেশটির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা অধ্যাপক ব্রেন্ডন মারফি আজ সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, অস্ট্রেলীয়দের পুনরায় চিন্তা করা দরকার এই শিথিল বিধিনিষেধে তাঁরা একে-অন্যের সঙ্গে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। তিনি বলেন, ভাইরাস নির্মূল না হওয়া অবধি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। এ সময় তিনি সিডনির একটি বিয়েতে কীভাবে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন, তা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটি মোকাবিলা করতে শক্ত বিধিনিষেধ মেনে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে একটি ভালো অবস্থানে এসেছে, তা সহজ করার আগে আরও অগ্রগতি প্রয়োজন।

কুইন্সল্যান্ড ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্য এই সপ্তাহে তাদের কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যাচ্ছে। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলো এ রকম কিছু এখনো ঘোষণা দেয়নি। তবে নিউসাউথ ওয়েলস রাজ্যের ওয়েবার্ভালি কাউন্সিল তাদের বিখ্যাত বন্ডাই সমুদ্রসৈকতসহ অন্য সৈকতগুলো আবার খুলে দিচ্ছে। ফলে কাল থেকে সীমিত আকারে সৈকতগুলো শুধু স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবহার করতে পারবেন।

রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা প্রসঙ্গে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের প্রিমিয়ার আনাস্টেসিয়া প্যালাস্কজুক বলেন, লোকজন বাড়ি থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে গাড়ি চালাতে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পিকনিকে যেতে পারবে। এ ছাড়া পোশাক, জুতা অপরিহার্য নয়, এমন সামগ্রী কেনার জন্যও শপিংয়ে যাওয়া যাবে। কিছু জাতীয় উদ্যানও আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে।

যদিও দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, কমপক্ষে ১১ মের আগ পর্যন্ত জাতীয় নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া হবে না। এ মেয়াদ শেষ হলে কিছু পরিসংখ্যান পরিমাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে রাজ্য ও অঞ্চলগুলো নির্দিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে স্বাধীন।
আজ সোমবার পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭২০ জন এবং এর মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্যদিকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ৫৮৬ জন। দেশটিতে আজ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তের শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার।

অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি কেউ এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়নি।