লকডাউন এখনই তোলা হবে না, কাজে ফিরে বরিস জনসন

লন্ডনে গতকাল সোমবার সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স
লন্ডনে গতকাল সোমবার সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, করেনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সর্বাধিক ঝুঁকির মুহূর্তে এখন যুক্তরাজ্য। তিনি জনগণকে লকডাউন নিয়ে অধৈর্য না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

সোমবার কোভিড–১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, 'আমরা এখন এই রোগের জোয়ারের সময় রয়েছি।'

করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বরিস জনসন। শ্বাসকষ্ট হওয়ায় বেশ কয়েকদিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকতে হয় তাঁকে। কিছুদিন আগে হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় যান তিনি। রোববার রাতে সরকারি বাসভবনে ফেরেন। গতকাল সোমবার যোগ দেন দায়িত্বে।

সেখানে জনগণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বরিস বলেন, খুব শিগগিরই লকডাউন শিথিল করা হবে না। আগামী দিনগুলোতে যেকোনও পরিবর্তন সম্পর্কে বিশদ জানানো হবে। তবে স্থগিত করে রাখা জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার (এনএইচএস) কিছু সেবা পুনরায় চালু হচ্ছে। যেমন ক্যানসারের সেবা। 
এ ছাড়া এনএইচএসের যেসব কর্মী সেবা দিতে গিয়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন, তাঁদের পরিবারগুলোকে ৬০ হাজার পাউন্ড করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। সর্বশেষ দৈনিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আরও ৩৬০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১ হাজার ৯২। ৩৬০ জনের মধ্যে ৮২ জন এনএইচএস কর্মী ও ১৬ জন সেবাকর্মী। 
বরিস জনসন বলেন, লকডাউন শেষ করতে অধৈর্য হওয়া ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ তিনি বুঝতে পারছেন। তবে খুব শিগগিরিই এটি উঠিয়ে দিলে দ্বিতীয় বারের মতো সংক্রমণ বাড়তে পারে, যা আরও বেশি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। এ বিষয়ে বিধিনিষেধ পুনরায় প্রবর্তন করা হতে পারে। 
বরিস বলেন, যুক্তরাজ্য এখন সংক্রমণের সর্বোচ্চ অবস্থা পার হচ্ছে। এমন লক্ষণ বিদ্যমান। এ পরিস্থিতিতে জনগণকে ধৈর্য ধরে রাখার আহবান জানান তিনি।