ম্যার্কেলের প্রশংসা, ট্রাম্পের সমালোচনা করলেন বিল গেটস

অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল, বিল গেটস, ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল, বিল গেটস, ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

করোনা সংকট মোকাবিলায় জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রশংসা করেছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকারের সমালোচনা করেছেন।

বিল গেটস করোনার সঙ্কট মোকাবিলায় ম্যার্কেলের বুদ্ধিদীপ্ত প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করেছেন। সোমবার একটি পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস এই প্রশংসা করেন। একই সাক্ষাৎকারে তিনি মর্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপের সমালোচনা করেন।

জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলকে একজন প্রকৃত নেত্রী বলে অভিহিত করেন বিল গেটস। তিনি বলেন, ম্যার্কেল এমন একজন নেত্রী, যাঁর কথায় ও কাজে সর্বদাই স্বচ্ছতা থাকে। করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় ইউরোপীয় দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ম্যার্কেলের একযোগে কাজ করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন বিল গেটস।

বিল গেটস করোনা সংকট মোকাবিলায় গুরুতর অবহেলার অভিযোগ তোলেন মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই ট্রাম্প সরকার করোনার ভয়াবহতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরীক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়নি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা করে বিল গেটস বলেন, মার্কিন সরকার প্রথম থেকে জনজীবনে বিধিনিষেধ বা লকডাউনের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়নি। তা ছাড়া তিনি দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থারও সমালোচনা করেছেন।

বিল গেটস দীর্ঘদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রকাশ্যে সমালোচনা থেকে বিরত ছিলেন। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অর্থ প্রদান বন্ধের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে ট্রাম্পের সমালোচনা করে আসছেন বিল গেটস।

বিল গেটস ফাউন্ডেশন বিগত বছরগুলোতে বিশ্বে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য নানা প্রকল্পে অর্থায়ন করে আসছে। তিনি ইবোলা মহামারির পর সতর্ক করে বলেছিলেন, পরবর্তী প্রাদুর্ভাবের জন্য বিশ্ব প্রস্তুত নয়।
করোনা সঙ্কটে বিল গেটস ফাউন্ডেশন ডায়াগনেস্টিক, চিকিৎসার পদ্ধতি ও ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কাজ করছে।

জার্মানিতে চলমান লকডাউন গতকাল সোমবার থেকে সামান্য শিথিল করা হয়েছে। তবে এই প্রথম জার্মানিতে সুপার মার্কেট, বাস, ট্রাম, ট্রেনে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত জার্মানিতে করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৯ জন। মারা গেছে ৬ হাজার ৫০ জন। সুস্থ ১ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ জন।