সংক্রমণ কমলেও পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ২১ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে

হাওড়া ব্রিজ এলাকা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
হাওড়া ব্রিজ এলাকা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে আসছে। তবে লকডাউন ২১ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে।

 সোমবার বিকেলে কলকাতার রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সন্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে আসছে। গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে এই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৪ দিনে দ্বিগুণ হতো। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তা ৬ দিনে দ্বিগুণ হয়। বর্তমানে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ৯ দিনে। দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনায় সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমে আসছে।

 মুখ্য সচিব বলেন, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪৭ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ৫০৪ জন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ১০৯ জন রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৩ জন। তিনি এ কথাও বলেন, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় এই রাজ্যে আরও ২ জনের মৃত্যু হলে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ জন।

 মুখ্য সচিব বলেছেন, জাতীয় স্তরে যেখানে ভারতের মৃত্যুহার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এই হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। তিনি বলেন, গত ২৫ মার্চ এই রাজ্যে যেখানে ছিল করোনার একটি মাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র ,এখন সেখানে হয়েছে ১৪টি পরীক্ষা কেন্দ্র। আরও নতুন করে ১০টি কেন্দ্র গড়ার আবেদন জানানো হয়েছে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই রাজ্যে করোনার নমুনার যেখানে ২৪৪টি পরীক্ষা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল সেই পরীক্ষার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৩টিতে।

বড়বাজার এলাকা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বড়বাজার এলাকা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮টি জেলায় করোনার বিস্তার হয়নি। এই ৮টি জেলা এখন সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা সংক্রমণের নিরিখে ৩টি জোনে রাজ্যকে ভাগ করেছে। একটি লাল জোন, আরেকটি কমলা জোন এবং শেষটি সবুজ জোন হিসাবে।

সবুজ জোন হলো করোনামুক্ত এলাকা। লাল জোন হলো করোনার খুব বেশি সংক্রমিত এলাকা। এই লাল জোনের তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলা। জেলা চারটি হলো কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। বাকি জেলায় করোনার সংক্রমণ খুব কম।

 সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সবুজ জোনে এখনই কিছু ছাড় দেওয়া হবে। লাল জোনে লকডাউনকে জোরদার করা হবে। লাল জোন এলাকার লকডাউন অমান্য করা হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

 মমতা বলেন, '২১ মে পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে। সাবধানে চলতে হবে। আমি আগেও বলেছিলাম , ৪৯দিন সাবধানে থাকতে হবে।'

মুখ্য সচিব আরও বলেছেন, জাতীয় স্তরে যেখানে ভারতের মৃত্যুহার ৩.৯ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এই হার ২.৬ শতাংশ। তিনি বলেন, গত ২৫ মার্চ এই রাজ্যে যেখানে ছিল করোনার একটি মাত্র পরীক্ষাকেন্দ্র ,এখন সেখানে হয়েছে ১৪টি পরীক্ষা কেন্দ্র। আরও নতুন করে ১০টি কেন্দ্র গড়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আবার ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই রাজ্যে করোনার নমুনার যেখানে ২৪৪টি পরীক্ষা হয়েছে, গত ২৬ এপ্রিল সেই পরীক্ষার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪৩টিতে।


মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সংবাদ সম্মেলনে জানান, পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮টি জেলায় করোনার বিস্তার হয়নি। এই ৮টি জেলা এখন সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা আক্রান্তের নিরিখে ৩টি জোনে রাজ্যকে ভাগ করেছে। একটি লাল জোন, আরেকটি কমলা জোন এবং শেষটি সবুজ জোন হিসাবে। সবুজ জোন হলো : করোনা মুক্ত এলাকা। লাল জোন হলো করোনার অত্যন্ত সংক্রমিত এলাকা। এই লাল জোনের তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলা। জেলা চারটি হলো : কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। আর বাকি জেলায় ছিটেফোঁটা করোনা সংক্রমণ রয়েছে।

গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সবুজ জোনে এখনই কিছু ছাড় দেওয়া হবে। আর লাল জোনে লকডাউনকে আরও কড়া করা হবে। লাল জোন এলাকার লকডাউন অমান্য করা হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে অমান্যকারীদের ।

মমতা আরও বলেছেন, '২১ মে পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে। সাবধানে চলতে হবে। আমি আগেও বলেছিলাম , ৪৯দিন সাবধানে থাকতে হবে।'