যুক্তরাজ্যে উড়োজাহাজে গেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন
যেকোনো দেশ থেকে আকাশপথে যুক্তরাজ্যে ঢোকা প্রত্যেককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন রাখার কথা সরকারকে বলেছে দেশটির আকাশথে সেবাদানকারী সংস্থাগুলো। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটি। শুধু আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন বিধিনিষেধ এই মাসের শেষে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এয়ারলাইনস ইউকে বলেছে যে, নীতিমালাটি থেকে বের হওয়ার একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রস্থান পরিকল্পনা থাকা দরকার এবং সাপ্তাহিক পর্যালোচনা করা উচিত। যুক্তরাজ্যে আগত লোকদের ব্যক্তিগত বাসভবনে স্বেচ্ছায় আলাদা থাকতে হবে।
সরকার ও বিমান সংস্থাগুলো বিবিসি নিউজকে বলেছে, কোয়ারেন্টিনের অর্থ হচ্ছে, সীমান্তে পৌঁছে লোকেরা তাদের থাকার ঠিকানা সরবরাহ করবে বলে আশা করা যায়।
নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কত দিন থাকবে এবং যুক্তরাজ্য বহির্ভূত বাসিন্দাদের ভাড়া নেওয়া ব্যক্তিগত আবাসে থাকতে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইজিজেট ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক অন্যান্য এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিত্বকারী এয়ারলাইনস ইউকে বলেছে, 'তারা কী প্রস্তাব দিচ্ছে, এর বিবরণ আমাদের দেখতে হবে।'
বিমান পরিবহনমন্ত্রী কেলি টোলহার্স্ট শনিবার সম্মেলনে ডেকে এয়ারলাইন্স এবং বিমানবন্দরের প্রতিনিধিদের নীতিটি পরিষ্কার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরগুলো বলছে, কোয়ারেন্টিন নীতিমাল কেবল যুক্তরাজ্যের বিমান শিল্পের ওপরই নয়, বিস্তৃত অর্থনীতিতেও রিরূপ প্রভাব ফেলবে।