করোনা এখনই আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে না: মমতা

নবান্নে মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে ভাষণ দেন মমতা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
নবান্নে মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে ভাষণ দেন মমতা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘করোনা এখনই যাবে বলে মনে হচ্ছে না। সেটা ভেবেই আমাদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে আমাদের আগামী তিন মাসের জন্য একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মমতা বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে মাঝারি বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হবে করোনাকে বিদায় করে দেওয়া। কিন্তু করোনা যেভাবে আমাদের আঁকড়ে ধরে আছে, সেখানে আমাদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে হবে।’

করোনার ছোবল এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি, বরং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়। তাই পশ্চিমবঙ্গে এখনই লকডাউন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে আভাস দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ। যদিও তৃতীয় পর্যায়ের এই লকডাউন ১৭ মে শেষ হওয়ার কথা ।

মমতা বলেন, ‘আজ দুমাস ধরে আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। জীবন–জীবিকা অস্বাভাবিক। এটা স্বাভাবিক করতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের অনন্তকাল বসে থাকলে চলবে না। করোনা এবং আর্থিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। মানুষকে বাঁচাতে হবে। তাই আগামী ৩ মাসের জন্য আমাদের স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। তারপর মিডটার্ম এবং লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। কারণ আমাদের গত দুমাস ধরে কোনো রোজগার নেই। ব্যবসা–বাণিজ্য বন্ধ। কেন্দ্রের কাছে টাকা চেয়েও পাইনি। এখনো পাওনা ৫২ হাজার কোটি রুপি।’

মমতা জানান, সরকারি বাস ও ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট কিছু রুটে চলবে বাস। ২০ জন যাত্রী উঠতে পারবে বাসে। বসতে হবে সামাজিক দূরত্ব রেখে। তবে ভাড়া হবে আগের মতোই। বাড়ানো হবে না। বেসরকারি বাসও একইভাবে চালানো যাবে। তবে তার ভাড়া নির্ধারণ করবে বেসরকাসি বাস মালিক সংগঠন। তবে এসব বাস এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না।

পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান , সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৯৮ জন। সংক্রমিত ১১০ জন। মোট সংক্রমিত ২ হাজার ১৭৩ জন।