করোনা মোকাবিলা নিয়ে মোদি-গেটস কথা

বিল গেটসের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদি। ছবি: নরেন্দ্র মোদির টুইটারের সৌজন্যে
বিল গেটসের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদি। ছবি: নরেন্দ্র মোদির টুইটারের সৌজন্যে

করোনার মোকাবিলায় যেকোনো বৈশ্বিক উদ্যোগে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিল গেটস ফাউন্ডেশনের প্রধান মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস দুজনেই এই বিষয়ে একমত। গত বৃহস্পতিবার দুজনে ভিডিও কনফারেন্স মারফত করোনা মোকাবিলা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।

এই মহামারি মোকাবিলায় যাবতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বৈশ্বিক সমন্বয়ে ভারতের ভূমিকা কী হতে পারে, তা আলোচিত হয়। আলোচনার পর বিল গেটস জানান, মহামারি মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহামারি রোখার ক্ষেত্রে তিনি ভারতের সদিচ্ছারও প্রশংসা করেন।

বিল গেটসের সঙ্গে আলোচনার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলিন্ডাও। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইট মারফত জানান, অনেকক্ষণ কথা হলো। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে যেমন কথা হয়েছে, তেমনই গেটস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ নিয়েও অনেক কথা হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় গবেষণা, প্রযুক্তির ভূমিকা, ওষুধ ও প্রতিষেধক তৈরি নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারত একজোট হয়ে এই লড়াই লড়ছে। ভারতের প্রশংসা করে বিল বলেন, এই লড়াইয়ে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ মে। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদি ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, রাজ্যে রাজ্যে ক্ষেত্রবিশেষে চতুর্থ দফার লকডাউন চলবে। তবে কোন কোন জায়গায় নিষেধাজ্ঞা বা কড়াকড়ি বহাল থাকবে, তা রাজ্যগুলোর ওপরেই ছেড়ে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলোর বিভিন্ন প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে পৌঁছেছে। রাজ্যে রাজ্যে ট্রেন, বিমানসহ সীমিত আকারে গণপরিবহনব্যবস্থা চালু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞাও শিথিল হবে বহুলাংশে।

সরকারের দুশ্চিন্তা মোটামুটিভাবে চারটি রাজ্যকে নিয়ে। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামুলনাড়ু ও দিল্লি। মৌসুমি শ্রমিক চলাচলের দরুণ বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গও সংক্রমণ নিয়ে বেশ খানিকটা চিন্তিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও সব রাজ্যই মোটামুটিভাবে এক মত, অর্থনীতির স্বার্থে স্বাভাবিকতা ফিরে আসা জরুরি। তবে সে জন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যে ২০ লাখ কোটি রুপির প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। কোন খাতে কত খরচ, তা জানাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শুক্রবার তৃতীয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কৃষি অবকাঠামো উন্নয়নে ১ লাখ কোটি রুপি খরচ করা হবে।

হেঁটে ঘরে ফিরতে চাওয়া মৌসুমি শ্রমিকদের স্বার্থে আনা এক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার জানান, শ্রমিকেরা যখন যে রাজ্য দিয়ে হাঁটবেন, তাঁদের খাদ্য–পানীয়র বন্দোবস্ত সেই রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে। এটা আদালত নিশ্চিত করতে পারে না। আদালতের কাজও নয়। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে জানান, মৌসুমি শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে কেন্দ্র বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু শ্রমিক হেঁটে ঘরে ফিরতে চাইছেন। তাঁদের আটকাতে বল প্রয়োগ করলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে।