পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৫৪ জন ভিনরাজ্যের নার্স চলে গেলেন

কলকাতার অ্যাপোলো, রবীন্দ্রনাথ টেগোর ও পিয়ারলেস হাসপাতাল। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কলকাতার অ্যাপোলো, রবীন্দ্রনাথ টেগোর ও পিয়ারলেস হাসপাতাল। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের ৩৫৪ জন ভিনরাজ্যের নার্স করোনা-আতঙ্কে চাকরি ছেড়ে বা ছুটি নিয়ে চলে গেছেন। এসব নার্সের অধিকাংশই ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরের বাসিন্দা।

গত শুক্রবার কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ১৮৫ জন প্রশিক্ষিত মণিপুরী নার্স চাকরি ছেড়ে বা ছুটি নিয়ে চলে যান নিজ রাজ্য মণিপুরে।

মণিপুর রাজ্য সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ওই নার্সদের জন্য ৩১টি বাস ও গাড়ির ব্যবস্থা করে। সেই বাস ও গাড়িতে তাঁরা মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে ফিরে যান।

বিদায় নেওয়ার আগে ওই নার্সরা বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত হলে তাঁরা ফিরে আসবেন। নতুবা তাঁরা কম বেতন হলেও নিজ রাজ্যে চাকরি করবেন।

চলে যাওয়া নার্সদের মধ্যে কলকাতার পিয়ারলেসের ২৫ জন, রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালের ৯ জন, রুবি হাসপাতালের ৬ জন, আইরিসের ১১ জন, অ্যাপোলোর ১০ জন, আমরির ৮ জন, ফর্টিসের ১৬ জন, চার্নকের ২৭ জন, ইইডিফের ১০ জন, ভাগীরথী নেউটিয়ার ১১ জন, মেডিকার ৩ জন, আইআরআইএসের ৬ জন, বিপি পোদ্দার হাসপাতালের ৯ জন উল্লেখযোগ্য।

গতকাল শনিবার দ্বিতীয় দফায় ১৬৯ জন নার্স পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফিরে গেছেন তাঁদের নিজ রাজ্যে। তাঁদের মধ্যে ৯২ জন মণিপুরের, ৪৩ জন ত্রিপুরার, ৩২ জন ওডিশার ও ২ জন ঝাড়খন্ডের।

ভিন্ন রাজ্যের আরও অনেক নার্স পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার আবেদন করেছেন।

প্রশিক্ষিত নার্সরা হঠাৎ করে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যাওয়ায় গভীর সংকটে পড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা। হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ঘটনায় রাজ্যের চিকিৎসাব্যবস্থা মারাত্মক ব্যাহত হবে। বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন রাজ্যের নার্স ও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কথা বলতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।