পশ্চিমবঙ্গে ফের বাংলাদেশি বার্জডুবি, ১২ নাবিক কোয়ারেন্টিনে

ডুবে যাওয়া এমভি প্রিয়াংকা। ছবি: সংগৃহীত
ডুবে যাওয়া এমভি প্রিয়াংকা। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলের নামখানা থানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে গতকাল সোমবার সকালে বাংলাদেশের একটি পণ্যবাহী বার্জ ডুবে গেছে। এখানে একটি জেটি ছিল। গত বুধবার আম্পানের ধাক্কায় এই জেটির একাংশ ডুবে যায়। হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীপথে চলে আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্য। চলাচল করে পণ্যবাহী বার্জ।

সোমবার এই পথ দিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছিল বাংলাদেশের পণ্যবাহী বার্জ এমভি প্রিয়াংকা। বার্জে বাংলাদেশের সিমেন্ট কারখানার জন্য ৯৩০ মেট্রিক টন ফ্লাইঅ্যাশ বা তাপ বিদ্যুৎ কারখানার ছাই ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থেকে এই ছাই নেওয়া হচ্ছিল। গতকাল খুব ভোরে এই পথে যাওয়ার সময় ওই জেটিঘাটের ডুবন্ত ফেরির সঙ্গে ধাক্কা খায় বাংলাদেশের বার্জ প্রিয়াংকা। সঙ্গে সঙ্গে তা ডুবতে থাক । এ সময় ওই বার্জের নাবিকেরা চিৎকার শুরু করলে নদীতে থাকা জেলেনৌকার জেলেরা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে নামখানার পুলিশ ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে যায়। বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধার করে প্রথমে থানায়, এরপর নিকটবর্তী দ্বারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের পরীক্ষার পর নামখানার চন্দ্রনগর কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়।

ডুবে যাওয়া এমভি প্রিয়াংকা। ছবি: সংগৃহীত
ডুবে যাওয়া এমভি প্রিয়াংকা। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির হুগলি নদীতে এবং সাগর থানার মুড়িগঙ্গা নদীতে আরও দুটি বাংলাদেশি পণ্যবাহী বার্জডুবির ঘটনা ঘটে।

পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, এভাবে সুন্দরবনের আন্তর্জাতিক জলপথে একের পর এক বার্জডুবির ঘটনা ঘটতে থাকলে আগামী দিনে মৎস্যজীবীদের ট্রলারসহ বিদেশি বার্জ ও জাহাজ চলাচলে সমস্যা দেখা দেবে। বার্জের ছাই নদীর পানিতে মিশে গেলে মাছেরও ক্ষতি হবে।