অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যসীমান্ত বন্ধ নিয়ে মামলা

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তি ক্লাইভ পামার। ছবি: ফেসবুকের সৌজন‌্যে
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তি ক্লাইভ পামার। ছবি: ফেসবুকের সৌজন‌্যে

অস্ট্রেলিয়ায় আন্তরাজ্য সীমান্ত কেন বন্ধ থাকবে, এ নিয়ে মামলা করেছেন দেশটির ধনাঢ্য এক খনিজ ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, আন্তসীমান্ত বন্ধ রাখা দেশটির সংবিধানের পরিপন্থী। কারণ অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান দেশটির বাসিন্দাদের প্রতিটি রাজ্য এবং অঞ্চলগুলোর মধ্যে অবাধে চলাচল করতে পারার নিশ্চয়তা দেয়।

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার খনিজ ব্যবসায়ী ক্লাইভ পামার দেশটির অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তি। কুইন্সল্যান্ড রাজ্যেও বিশাল ব্যবসা তাঁর। এ ছাড়া তিনি প্রায় এককভাবে 'ইউনাইটেড অস্ট্রেলিয়া পার্টি' নামের একটি রাজনৈতিক দলও চালান। রাজ্যসীমান্ত কেন বন্ধ রাখা হয়েছে, এ নিয়ে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া সরকারের বিরুদ্ধে তিনি প্রথমে দেশটির উচ্চআদালতে মামলা করেন। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলায় যোগ করেন আরেক রাজ্য কুইন্সল্যান্ডকে।

ক্লাইভ পামার বলেন, সীমান্ত বন্ধ রাখা অসংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক। ২৬ জুনের মধ্যে মামলার পক্ষে নথিপত্র জমা দেওয়া হবে, যাতে শিগগিরই এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। তিনি আশা করেন, উচ্চআদালত রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ হওয়াকে 'বোকামির কাজ' বলে স্বীকার করবেন। তবে রাজ্য সরকার বলছে, তারা এই চ্যালেঞ্জকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

অন্যদিকে কুইন্সল্যান্ডের সীমান্ত দ্রুত না খুলে দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন দেশটির রাজনৈতিক দল ওয়ান নেশনের নেতা পলিন হ্যানসন। তিনি বলেন, সীমান্ত বন্ধ রেখে সংবিধানের ৯২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা দেশটিতে অবাধে চলার সাংবাধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে রাজ্য সরকার।

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক ফ্রন্ট ও রাজ্য সরকারের চাপ থাকা সত্ত্বেও কুইন্সল্যান্ড ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্য সরকার আগামী কয়েক মাস পর্যন্ত তাদের রাজ্যসীমান্ত বন্ধ রাখার পক্ষে অনড়। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরামর্শে করোনার মারাত্মক সংক্রমণ বিস্তার থামাতে তারা এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছে।