লকডাউন শিথিলে সংক্রমণ বাড়ছে, ভুগছে ইরান

ইরানের ৪০ মানুষ সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে সচেতন। ছবি: বিবিসি
ইরানের ৪০ মানুষ সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে সচেতন। ছবি: বিবিসি

তিন দিন ধরে প্রতিদিন তিন হাজার বা তার বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের ধাক্কায় নতুন করে সংক্রমণ শুরু হওয়ায় উদ্বেগে দেশটি। বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

ইরানে ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে লকডাউনে যায় দেশটি। সম্প্রতি ইরানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য আরোপিত লকডাউন পর্যায়ক্রমে শিথিল করা হচ্ছিল। তবে ইরানের কর্তৃপক্ষ বরাবর দ্বিতীয় দফায় ভাইরাস সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন। আর লকডাউন শিথিলের পর তিন দিনে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৭৪ বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ সময় মারা গেছেন ৫৯ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৭১ জন।

ইরানে কয়েকটি প্রদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করায় বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। খুজেস্তান প্রদেশে আবার কিছু বিধিনিষেধ করা হয়েছে।

ইরান সরকার জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কেউ কেউ মানেন কেউ কেউ তা মানেন না। ছবি: এএফপি।
ইরান সরকার জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কেউ কেউ মানেন কেউ কেউ তা মানেন না। ছবি: এএফপি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণের বিভিন্ন কারণ আছে। তবে সবচেয়ে বড় কারণটি হলো, ইরানের অনেক নাগরিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না। এক জরিপে দেখা গেছে ৪০ শতাংশ নাগরিক গুরুত্ব দেন না সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে।

গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাঈদ নামাকি বলেন, জনগণ ভেবেছে করোনাভাইরাস চলে গেছে। তবে সত্যটি হচ্ছে, এ মুহূর্ত্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় আসেনি। যেকোনো সময় আগের চেয়ে সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতিতে হতে পারে। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে না আমাদের খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।

সাঈদ নামাকি বলেন, জনগণকে বিয়ের অনুষ্ঠান সীমিত করতে বলা হলেও তারা শুনছে না। এমনকি শেষকৃত্যে যেতে বারণ করা হলেও তারা মানছে না।

ঈদের ছুটির সময় হাজারো নাগরিক ‘রেড জোন’ বলে চিহ্নিত উত্তর ইরানে বেড়াতে গিয়েছিল। তা ছাড়া পাতাল রেল, ব্যাংক ও অফিসগুলোয় সম্প্রতি লোকের ভিড় দেখা যাচ্ছে।