এবার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ না করতে চীনের সতর্কবার্তা

ফাইল ছবি রয়টার্স
ফাইল ছবি রয়টার্স

চীন এবার তার দেশের নাগরিকদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ না করতে সর্তক করেছে। দেশটির সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় শনিবার এ সতর্কতা জারি করে বলে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বর্ণবাদ ক্রমবর্ধমান রয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, চীনা ও এশীয় জনগণ অস্ট্রেলিয়ায় আর নিরাপদ নয়। তাঁদের ওপর বর্ণবাদী আক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার পর্যটনমন্ত্রী সাইমন বার্মিংহাম বলেন, ‘চীন সরকারের এ দাবি মিথ্যা। আমরা চীনের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করি। কারণ, আসলে এর কোনো ভিত্তি নেই।’ অস্ট্রেলিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী মাইকেল ম্যাককর্ম্যাকও চীনের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, চীনের জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়েনি।

তবে চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীনের হুয়াওয়ে কোম্পানির হাইটেক ৫–জি নেক্সট জেনারেশন নেটওয়ার্ক স্থাপনে অস্ট্রেলিয়া নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় চীন অস্ট্রেলিয়ার ওপর আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল। তার ওপর আবার করোনাভাইরাসের বিষয়ে তদন্তের দাবি করায় ধারাবাহিক প্রতিশোধের অংশবিশেষ এই ভ্রমণ না করার সর্তকতা।

এর আগে করোনাভাইরাস নিয়ে অস্ট্রেলিয়া-চীন সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চেং জিংয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, শিক্ষা, পর্যটন, কৃষিক্ষেত্রের লেনাদেনা চীনা মানুষ হয়তো বর্জন করা শুরু করবে। যে দেশ চীনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, সে দেশের মদ-মাংস খেতে চায়নিজরা হয়তো দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে রপ্তানি করা বার্লির ওপর ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কর বসিয়েছে চীন। ফলে অস্ট্রেলিয়ার ৮৮ শতাংশ চীনে রপ্তানি করা বার্লি উৎপাদন এখন বন্ধের পথে। তারপর স্থগিত করেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে মাংস আমদানি।