'অস্ট্রেলিয়া রাষ্ট্রীয় সাইবার আক্রমণের শিকার'

ফাইল ছবি রয়টার্স
ফাইল ছবি রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়া ‘রাষ্ট্রীয়’ সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রভিত্তিক সংঘবদ্ধ সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এতে সব পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জরুরি সেবাসহ বিভিন্ন খাতকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।

শুক্রবার তাৎক্ষণিক এক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এসব কথা বলেন। তবে এই হামলার পেছনে কারা এবং কেন কিংবা কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে দেশটির স্কট মরিসন বিস্তারিত জানাননি।

স্কট মরিসন বলেন, সাইবার হামলার ধরন থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই আক্রমণ নিশ্চিতভাবে রাষ্ট্রীয়। তবে কোন রাষ্ট্র এ আক্রমণ চালিয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিন্ডা রেনল্ডস বলেন, এসব আক্রমণে বড় পরিসরে কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রধানন্ত্রী মরিসন স্পষ্ট করে হামলাকারী দেশটির নাম না বললেও দেশটির কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এ আক্রমণের জন্য সরাসরি চীনকে দায়ী করেছেন। তবে এই অভিযোগ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, চীন ‘সাইবার সুরক্ষার দৃঢ় সমর্থক’।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া চীনকে করোনাভাইরাস মহামারির উৎস সম্পর্কে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানালে চীন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ জন্য চীন নিজেদের পররাষ্ট্রনীতিতে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। চীন তাদের শিক্ষার্থী এবং পর্যটকদের অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান পণ্যের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে। তার ওপর গত সপ্তাহে মাদক পাচারের দায়ে অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চীন। ফলে অস্ট্রেলিয়ায় এই সাইবার আক্রমণের জন্য সন্দেহের তির বেইজিংয়ের দিকেই যাচ্ছে।