কলকাতায় করোনার সংক্রমণ কমছে

কনটেনমেন্ট জোন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
কনটেনমেন্ট জোন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতজুড়ে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের হার কিছুটা কমে আসছে। রাজ্যের রাজধানী কলকাতায়ও সংক্রমণের হার নিম্নমুখী।

কিন্তু কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, কলকাতায় এখন দিন দিন সংক্রমণের হার কমছে। গত রোববার সেই সংখ্যা ছিল ১২৬। গতকাল সোমবার তা আরও কমে ৮১ জনে নেমে আসে। করোনার সংক্রমণের হার কলকাতায় কমে যাওয়ায় কলকাতাবাসীর স্বস্তি ফিরে আসছে।

পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমণ হয়েছে ১৪ হাজার ৩৫৮। এখন পর্যন্ত ৫৬৯ জন মারা গেছেন। গতকাল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯০ জন। পশ্চিমবঙ্গে এখন সুস্থতার হার ৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ।

গতকাল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায় কোনো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। সংক্রমণ ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে ৩, দার্জিলিংয়ে ৩৩, উত্তর দিনাজপুরে ৬, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৯, মালদহে ৪৬, মুর্শিদাবাদে ১০, নদীয়ায় ২, বীরভূমে ১, বাঁকুড়ায় ৪, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৭, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬, পূর্ব বর্ধমানে ১, পশ্চিম বর্ধমানে ৩, হুগলিতে ১৫, হাওড়ায় ৬০, উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫২ এবং কলকাতায় ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

বুলেটিনে বলা হয়, এ পর্যন্ত কলকাতায় ৪ হাজার ৭৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩৩৬ জন। দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা কলকাতা মহানগরেই সবচেয়ে বেশি। রাজ্যের অতি সংক্রমিত বা কনটেনমেন্ট জোনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কলকাতা মহানগরে, ১ হাজার ৯ টি। গোটা পশ্চিমবঙ্গে এই সংখ্যা ১ হাজার ৮০৬।

অন্যদিকে ভারতজুড়ে সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারতে সংক্রমিত হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ২৮২ জন। মারা গেছেন ১৩ হাজার ৬৯৯ জন। সুস্থ ২ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৫ জন। এখন চিকিৎসাধীন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৮৭ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮২১ জন।