'আমরাই খাঁচায় আর বানরেরা বাইরে'

শহরে বানরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। ছবি: এএফপি
শহরে বানরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। ছবি: এএফপি

থাইল্যান্ডের প্রাচীন লোপবুড়ি শহর পুরোটাই বিশাল একদঙ্গল বানরের নিয়ন্ত্রণে। মারদাঙ্গা স্বভাবের এই ম্যাকাক বানরের উৎপাতে শহরবাসীর প্রাণ ভাজা ভাজা। এখন কর্তৃপক্ষ ম্যাকাক বানরের কবল থেকে শহর উদ্ধারের চেষ্টায় আছে। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এই বানরদের উৎপাতটা কেমন, তা শোনা যাক সেখানকারই এক বাসিন্দার মুখে। কুলজিরা নামের সেই নারীর ভাষ্য, ‘আমরাই খাঁচায় আর বানরেরা বাইরে। তারা যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে। এ দুর্গন্ধ অসহ্য, বৃষ্টি নামলে টেকা দায়।’

লোপবুড়ি শহরে ম্যাকাক বানরের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে এ সংখ্যা বাড়ছে।

বানরের যন্ত্রণায় শহরের অধিবাসীদের জীবন অতিষ্ঠ। ছবি: এএফপি
বানরের যন্ত্রণায় শহরের অধিবাসীদের জীবন অতিষ্ঠ। ছবি: এএফপি

অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে যে পুরো শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বানরের দল। শহরে মানুষের নির্বিঘ্নে চলাফেরা-কাজকর্মের উপায় নেই।

বাইরের কথা না হয় বাদ, ঘরের ভেতরও শান্তিতে থাকার উপায় নেই। হুটহাট হানা দিচ্ছে দুষ্টু বানরের দল।

বানরের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে ঘরে-বাইরে নানা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে লোপবুড়ি শহরের বাসিন্দাদের।

লোপবুড়ি শহরের ম্যাকাক বানরের দল দুর্ধর্ষ। তারা নির্ভীক। মানুষ নয়, রাস্তাঘাটসহ পুরো জনপদ তারা নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের বিচরণ শহরের সর্বত্র। তাদের আচরণ দস্যু কিংবা ডাকাতের মতো।

শহরে বানরের প্রজনন নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: এএফপি
শহরে বানরের প্রজনন নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: এএফপি

তারা শহরের অধিবাসীদের জীবন অতিষ্ঠ করে রাখার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও কলহ করে। এই কলহ তুমুল লড়াইয়েও রূপ নেয় অহরহ।

করোনার জন্য পর্যটন বন্ধ। তাই শহরে নেই কোনো পর্যটক। পর্যটক না থাকায় তাদের কাছ থেকে দিন-রাত খাবার-দাবার পাওয়ার পথ বন্ধ। ফলে বানরের দল এখন সহিংস হয়ে উঠেছে। যার ভুক্তভোগী শহরটির বাসিন্দারা।

শহরে বানরের উৎপাতের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় তাদের প্রজনন নিয়ন্ত্রণে সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।