পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল

রাজ্য সচিবালয় নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
রাজ্য সচিবালয় নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের মেয়াদ ফের বাড়ানো হচ্ছে। রাজ্যের অতিসংক্রমিত এলাকা বা কনটেনমেন্ট জোনে ষষ্ঠ দফার এই লকডাউন ৩১ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সময় বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।

পঞ্চম দফার চলমান লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ থামছে না। এ পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সর্বদলীয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে।

গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মূলত পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি ও আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে রাজ্যের ১১টি রাজনৈতিক দলের তিনজন করে প্রতিনিধি যোগ দেন। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখ থেকে উঠে আসে করোনা চিকিৎসায় ঘাটতির অভিযোগ। একই সঙ্গে রেশন ও ত্রাণে ব্যাপক দুর্নীতির কথা।

অভিযোগ শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা সর্বদলীয় বৈঠকে ঘোষণা দেন, ত্রাণ ও রেশন নিয়ে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবেনা। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়াবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ জেলা প্রশাসক বা স্থানীয় থানায়ও জানাতে বলেছেন মমতা।

মমতা একটি সর্বদলীয় কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। এই কমিটিতে থাকবেন বিজেপি, কংগ্রেস, বামদল ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকে মমতা বলেন, করোনা প্রতিরোধে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ষষ্ঠ দফার লকডাউনে কিছু ছাড় দেওয়া হবে। তবে রাজ্যে চলবে না লোকাল ট্রেন ও মেট্রো ট্রেন।
মমতা জানান, মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে কলকাতাসহ রাজ্যে বাড়ানো হচ্ছে সরকারি-বেসরকারি বাস। তবে বাসভাড়া বাড়ানো হবে না।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪৫ জন। মারা গেছেন ১১ জন।

এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মোট সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৭৩ জন। মোট মারা গেছেন ৫৯১ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ৭০২ জন।