করোনার নতুন তরঙ্গ আসছে ইউরোপ-আমেরিকায়
করোনার আরেক দফা নতুন তরঙ্গ আসছে আমেরিকায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, ইউরোপের কয়েকটি দেশেও করোনার সংক্রমণের মাত্রা মারাত্মক ঊর্ধ্বমুখী। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারিতে ৪ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ ইতিমধ্যে মারা গেছেন। এখনো লাতিন আমেরিকায় এর প্রকোপ চলছে। ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের শিকার ব্রাজিলে। সে দেশে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মেক্সিকোয় মৃত্যু ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন দক্ষিণ–পশ্চিম অঞ্চলে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। নিশ্চিত সংক্রমণের হার গত এপ্রিল মাসের সমান হয়ে গেছে। জুনের শুরুতে লকডাউন শিথিল করার জন্য টেক্সাস সবচেয়ে আগ্রাসী ছিল। রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট আত্মবিশ্বাসী যে টেক্সাট সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছে।
দেশটির সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৩৭ হাজার ৬৬৭ জন শনাক্ত ও ৬৯২ জন মারা গেছেন। সব মিলিয়ে দেশটিতে ১ লাখ ২২ হাজার মানুষ মারা গেছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। অ্যাবোট গতকাল বৃহস্পতিবার লকডাউন শিথিল করার ধাপ বন্ধ করে হাসপাতালের শয্যা খালি করার চেষ্টা চালিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অ্যাবোট বলেন, ‘সবশেষ কাজ হিসেবে আমরা কিছুটা পিছিয়ে যেতে চাই এবং ব্যবসা বন্ধ করতে চাই।’ এর আগে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অ্যাবট এখন বলছেন, ‘সাময়িক বন্ধ রাখার এ নীতি ভাইরাসের বিস্তার কিছুটা রোধ করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ২৯টি অঙ্গরাজ্য এখন নতুন করে করোনার সংক্রমণের মুখে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মনে করছেন, অ্যান্টিবডি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে ১০ গুণ বেশি। এখন সংক্রমণের চিত্র বদলাচ্ছে এবং তরুণেরাও ঝুঁকিতে।
ইউরোপের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগে সতর্ক করেছেন, ১১টি দেশে সংক্রমণ বাড়ার হার যেদিকে যাচ্ছে, এতে যদি পরীক্ষা না করা হয়, তবে ইউরোপের স্বাস্থ্যব্যবস্থা আবারও খাদের কিনারে চলে যাবে।