করোনায় ইউরোপে শিশুমৃত্যু ১ শতাংশেরও কম

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

ইউরোপে কোভিড-১৯ পজিটিভ প্রতি ১০০ শিশুর মধ্যে ১ জনেরও কম শিশুর ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে পারে। ইউরোপজুড়ে চালানো সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

‘দ্য ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলসেন্ট হেলথ’ সাময়িকীতে এ গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া ও স্পেনের বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে একদল গবেষক ১৮ বছরের কম বয়সী ৫৮২ জন করোনায় সংক্রমিত শিশু নিয়ে সমীক্ষা চালান। এসব শিশুর মধ্যে মাত্র এক-চতুর্থাংশের আগে চিকিৎসাসংক্রান্ত কোনো জটিলতা ছিল।

এটি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় বিপরীত চিত্র। বেশির ভাগ বয়স্ক রোগীর অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যসমস্যা রয়েছে। গবেষকেরা দেখেন, ৬০ শতাংশ কোভিড-১৯ পজিটিভ শিশুর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন পড়ে এবং ৮ শতাংশের ইনটেনসিভ কেয়ার (আইসিইউ) লাগে। যে ৫৮২ জন নিয়ে গবেষণা করা হয়, এর মধ্যে ৪টি শিশু মারা গেছে। অন্যদিকে, ৯০টি শিশুর বা ১৬ শতাংশের কোনো ধরনের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।

গবেষণায় শিশুদের সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গ দেখা দেয়, তা হচ্ছে জ্বর। ৬৫ শতাংশের জ্বর ছিল। এরপর ছিল শ্বাসনালির সংক্রমণ ৫৪ শতাংশ। ২৫ শতাংশের নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল। গবেষকেরা দেখেন, কিছু শিশুর ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সঙ্গে অন্যান্য শ্বাসনালির ভাইরাসের সংক্রমণও ঘটেছে। এ কারণে অনেক শিশুকে আইসিইউতে নিতে হয়েছে।

গবেষণা নিবন্ধের শীর্ষ লেখক ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের মার্ক টেব্রুগ বলেন, বেশির ভাগ শিশু ও তরুণের রোগটি মৃদু হতে পারে। তবে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশুর গুরুতর পরিস্থিতি হতে পারে এবং নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হতে পারে বলে স্বাস্থ্যসেবা সংস্থাগুলোর বিবেচনায় রাখা উচিত।