টয়লেট পেপার চাইলেই হলো...

টয়লেট পেপার। ছবি: রয়টার্স
টয়লেট পেপার। ছবি: রয়টার্স

করোনার আতঙ্কে অস্ট্রেলিয়ায় টয়লেট পেপার নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সুপারমার্কেটগুলো ক্রেতাদের টয়লেট পেপার কেনার সীমা বেঁধে দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনার আতঙ্কে মেলবোর্ন শহরের লোকজনের মধ্যে টয়লেট পেপার কেনার হিড়িক পড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়াজুড়ে টয়লেট পেপার কেনার সীমা নির্ধারণ করে দেয় দেশটির সুপারমার্কেটগুলো।

টয়লেট পেপার কেনা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে হুড়োহুড়ির ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন পর্যন্ত ক্ষুব্ধ। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘এটা বন্ধ করুন। এটা হাস্যকর।’

কর্মকর্তারা বলছেন, মেলবোর্নে নতুন করে ৩০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। শহরটিতে হুট করে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ এলাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার নতুন সংক্রমণ একেবারেই নেই কিংবা খুব কম।

মেলবোর্নে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা আশঙ্কা করে, মেলবোর্নে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসছে। এই আতঙ্ক থেকে টয়লেট পেপার কেনার হিড়িক পড়ে যায়।

অস্ট্রেলিয়ায় করোনায় এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ জন সংক্রমিত হয়েছে। মারা গেছে ১০৪ জন। আড়াই কোটি মানুষের এই দেশে কিছু এলাকায় করোনার নামগন্ধও নেই।