করোনায় গুরুতর অসুস্থতা হয়তো ঠেকাবে, তবে পুরোপুরি সুরক্ষা হবে না

রয়টার্স প্রতীকী ছবি
রয়টার্স প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) মহামারি দুর করার যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল আশার আলো দেখাচ্ছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি করা ভ্যাকসিন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রধান কেট বিংহ্যাম জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতেই এই ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আশা করছেন তাঁরা। করোনা মহামারি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনই সবচেয়ে বড় অস্ত্র হবে বলে মনে করেন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। কেট বিংহ্যাম বলেছেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি ভ্যাকসিনটির দিকেই সবাই তাকিয়ে আছে। কারণ এই ভ্যাকসিনটিই সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল। তবে এই ভ্যাকসিন দিয়েই নতুন করোনাভাইরাস পুরোপুরি মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করেন না কেট। তাঁর মতে, অক্সফোর্ডের তৈরি প্রথম ভ্যাকসিনটি কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ উপশম করতে সাহায্য করবে। এতে করে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের গুরুতর অসুস্থ হওয়া কমতে পারে। তবে এই ভ্যাকসিন দিয়েই মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটির নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট। তিনি বলছেন, ‘আমি আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উন্নত ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে এবং এটি মানুষকে রক্ষা করবে।’

যুক্তরাজ্যে তিন লাখেরও বেশি মানুষ নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের অগ্রগতি বেশ ভালো। অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্য বেশি তৎপরতা দেখিয়েছে এবং এর ফলও পাওয়া যাচ্ছে।

পুরো বিশ্বের ১৮৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস মহামারি। প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগে ৫ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।